ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

ভুতুড়ে রাতে জিতল শুধু সিটি, আয়াক্স-বায়ার্নের থ্রিলার ড্র

বার্নাব্যুতেই বিধ্বস্ত রিয়াল

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে এমন ভুতুড়ে রাত কবে এসেছে, তা খুঁজতে হলে ঘাঁটতে হবে অতীত পরিসংখ্যান। এক রাতেই তুলনামূলক দুর্বল দলের বিপক্ষে ধরাশায়ী হয়েছে ইউরোপের চার জায়ান্ট। তার মধ্যে তিন ক্লাবেরই আছে অধিক চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। রিয়াল মাদ্রিদের কথায় ধরুন, টানা গত তিন আসরের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন তারা। সর্বোচ্চ ১৩ বার শিরোপাও জিতেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। কিন্তু নতুন মৌসুমে লা লিগা বলেন বা চ্যাম্পিয়নস লিগ, এক ভুলে যাওয়ার মতো অধ্যায়ের মুখোমুখি অলহোয়াইটরা। পরশু কিনা নিজেদের মাঠে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই তারা ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে রাশিয়ার সিএসকেএস মস্কোর মতো ক্লাবের বিপক্ষে!

চ্যাম্পিয়নস লিগে ৩৩ ম্যাচের মধ্যে এই প্রথম প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ২০০৮-০৯ মৌসুমে গ্রুপ পর্বের দুই লেগে তারা হেরেছিল জুভেন্টাসের বিপক্ষে। ১০ বছর পর সেই স্মৃতিটাই জাগিয়ে তুলল মস্কো। এবারও গ্রুপ পর্বে মস্কোর বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল। পরশু ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বড় ব্যবধানেই হারল কোচ সান্তিয়াগো সোলারির শিষ্যরা। ম্যাচটিতে অবশ্য সোলারি বিশ্রাম দিয়েছিলেন লুকা মডরিচ, কারভাহাল ও রাফায়েল ভারানেদের। মূল একাদশে ছিলেন না টনি ক্রুস, গ্যারেথ বেলরা। ছিলেন না অধিনায়ক সার্জিও রামোসও। ব্লাঙ্কোসদের দুর্বল রক্ষণভাগের সুযোগটাই নিয়েছে মস্কো। প্রথমার্ধেই দুই গোল হজমের পর দ্বিতীয়ার্ধে হজম করেছে তৃতীয়টি। অবশ্য গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ ষোলোতে আগেই পা রেখেছিল সোলারির দল।

অন্যদিকে রিয়ালের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে ‘জি’ গ্রুপের রানারআপ দল রোমাও। রোমান গ্ল্যাডিয়েটররা চেক প্রজাতন্ত্রের ক্লাব ভিক্টোরিয়া প্লাজেনের মাঠে হেরেছে ২-১ গোলে।

জায়ান্টদের অঘটনের রাতে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠ ইতিহাদে পিছিয়ে পড়েও লেরয় সানের জোড়া গোলে সিটিজেনরা হারিয়েছে হফেনহেইমকে। ম্যাচের ১৬ মিনিটে আন্দ্রেজ ক্রামারিচের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় জার্মান ক্লাবটি। ৪৫ ও ৬১ মিনিটে জোড়া গোলে কোচ পেপ গার্দিওলাকে জয় এনে দেন সানে। ‘এফ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করেছে লিঁও। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে ফরাসি ক্লাবটির জয় বা ড্র হলেও চলত। আর শাখতারের পেতে হতো তিন পয়েন্ট। সেই কাজটা প্রায় করে ফেলেছিল স্বাগতিক শাখতার। কিন্তু লিঁওকে হারের মুখ থেকে উদ্ধার করেন নাবিল ফেকির।

পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে উত্তেজনাকর ম্যাচটি উপহার দিয়েছে আয়াক্স বনাম বায়ার্ন মিউনিখের ম্যাচটি। ‘ই’ গ্রুপে দুই দলই আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলেছিল। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও কেউ কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলেনি। ছয় গোলের ম্যাচে তিনটিই হয়েছে শেষ তিন মিনিটে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র হয়েছে ৩-৩ গোলে। আয়াক্সের হয়ে জোড়া গোল পেয়েছেন দুসান টাডিচ। বায়ার্নের হয়ে রবার্ট লেভানডভস্কি। দুই দলই দেখেছে একটি করে লাল কার্ড। ৬৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আয়াক্সের ম্যাক্সিমিলিয়ান ওভার। ৭৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে বসেন বায়ার্ন ফরওয়ার্ড থমাস মুলাররও। পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় গ্রুপ সেরার স্থানটা অক্ষত রেখেছে বাভারিয়ানরা। নিজেদের মধ্যে অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় গত সাক্ষাতেও দুই দলের মধ্যে ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close