ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

নকআউট পর্বে পিএসজি লিভারপুল, নাপোলির বিদায়

পিছিয়ে থেকে কিভাবে ফিরে আসতে হয় লিভারপুলের চেয়ে আর কেইবা বেশি জানবে? সেই ২০০৫ সালেও উয়েফা চ্যাম্পিযনস লিগের গ্রুপপর্বে কঠিন সমীকরণের সামনে পড়েছিল অলরেডরা। সেই দোদুল্যমান বৈতরণী পার তো তারা হয়েছিল; সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে ‘কামব্যাক’ শব্দটারও নতুন জন্ম দিয়েছিল পাঁচবারের শিরোপাজয়ী দলটি। ফাইনালে এসি মিলানের বিপক্ষে প্রথমার্ধে তিন গোলে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে আশ্চর্যজনকভাবে সমতায় ফিরে লিভারপুল।

তারপর টাইব্রেকারে জিতে নেয় ইস্তাম্বুলের ফাইনাল।

পরশুর ম্যাচটিতে অবশ্য লিভারপুল গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল না। ‘সি’ গ্রুপে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে ছিল টেবিলের তৃতীয় স্থানে। শেষ ষোলোতে যেতে হলে দরকার ছিল তিন পয়েন্ট। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ নাপোলি ৯ পয়েন্ট পাওয়ায় ছিল গ্রুপের শীর্ষে। ইতালিয়ান ক্লাবটির ড্র হলেও চলত। এছাড়া গ্রুপের আরেক ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পিএসজি মুখোমুখি হয়েছিল সার্বিয়ান ক্লাব রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে। ফরাসি জায়ান্টদের জয় নিয়ে সন্দেহ ছিল না। নেইমার-কাভানি-এমবাপ্পেদের গোলে ঠিকই ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে টমাস টুখেলের দল।

তবে সব আলোটা ছিল অ্যানফিল্ডে। একদিন আগের পরিচিত দৃশ্যটাকেই এক মুহূর্তে পাল্টে দিল মোহাম্মদ সালাহর গোল। মিসরীয় ফরওয়ার্ডের একমাত্র গোলেই চিত্রপট পাল্টে গেল নিমিষে। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পর শেষ ষোলোতে উঠার উল্লাসে মেতে উঠা অলরেডরা। আর লিভারপুলের সমান ৯ পয়েন্ট নিয়েও নাপোলিকে বরণ করে নিতে হলো বিদায়। নাপোলির বিদায়টা মূলত গোল ব্যবধানের কারণে।

ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা ৬ ম্যাচে প্রতিপক্ষকে গোল দিয়েছে ৯টি, হজম করেছে ৭টি। নাপোলি ৭ গোল দেওয়ার পাশাপাশি হজম করেছে ৫টি। আর তাতেই কপাল পুড়ল কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের। বেলগ্রাডকে তাদেরই মাঠে উড়িয়ে দিয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে শেষ ষোলোতে উঠেছে পিএসজি।

পরশু ‘হয় জেত নয়তো মর’ এমন চিন্তা নিয়েই মাঠে নেমেছিল পিএসজি। কোচ ক্লপ অবশ্য আশাবাদী ছিলেন দলের প্রাণভোমরা সালাহকে নিয়ে। গত প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচেই যে হ্যাটট্রিক করে নিজের বাঁ-পাটাকে শানিয়ে রেখেছিলেন মিসরীয় ফারাও। ক্লপের আস্থার প্রতিদানটাও দিলেন তিনি। ৩৪ মিনিটে অলরেডদের মধ্য মাঠের নিয়ন্তা জেমস মিলনারের পাস থেকে অ্যানফিল্ডকে বাঁধভাঙা উল্লাসে ভাসান সালাহ।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই সুযোগ পেয়েছিল গোলের। তবে ক্লপ রোমা থেকে যে অ্যালিসনকে নিয়ে এসে যে ভুল করেননি তার প্রমাণটা হাতেনাতেই পেলেন। শেষ মুহূর্তের নায়ক তো ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকই। প্রতিপক্ষ মিল্কের শটটি যেভাবে ঠেকিয়ে দিলেন তার জন্য অ্যালিসনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ক্লপ, ‘অ্যালিসনকে যদি তার দুই গুণ দাম দিয়েও কেনা লাগত, তবে আমি আফসোস করতাম না।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close