ক্রীড়া ডেস্ক

  ২১ নভেম্বর, ২০১৮

সাজা কমছে না স্মিথ-ওয়ার্নারের

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, সহঅধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন বেনক্রফটের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দোলাচল দেখা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডে। অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় ইউনিয়ন থেকে দাবি উঠেছিল এই ত্রয়ীর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য। তবে কাল সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের নিষেধাজ্ঞা কমানো হবে না বলে।

গত মার্চ মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে বল বিকৃতির ইস্যু নিয়ে স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এক বছর এবং বেনক্রফটকে ৯ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। পরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) তাদের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে পুনঃবিবেচনার জন্য আবেদন করে। তার প্রেক্ষিতে কাল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান এয়ার্ল এডিংস বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা পরিবর্তন করা ঠিক হবে না।’

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এমন সিদ্ধান্ত হতাশাজনক জানিয়ে এসিএ’র বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সিএ’র সিদ্ধান্তকে সম্মানজনকভাবে অসম্মতি জানাচ্ছি। কিন্তু এটাই গ্রহণযোগ্য।’

অধিনায়ক স্মিথ ও সহঅধিনায়ক ওয়ার্নার ইতোমধ্যে তাদের সাজার আট মাস অতিক্রম করেছে। আর বেনক্রফট ডিসেম্বরেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরতে পারবেন। গত অক্টোবর মাসে স্মিথ ও ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনার দাবি নিয়ে খেলোয়াড় ইউনিয়নের প্রধান গ্রেগ ডায়ের বলেছিলেন, ‘তারা (স্মিথ-ওয়ার্নার) যথেষ্ট সাজা ভোগ করেছে। এখন তাদের খেলতে দাও।’

কিন্তু এডিংস বলেন, ‘তাদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত অনেক আলোচনা ও বিবেচনার মাধ্যমেই নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে বোর্ড এক চুলও এদিক-ওদিক করবে না। বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ তাদের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘স্মিথ, ওয়ার্নার এবং বেনক্রফট ক্রিকেটে প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে কঠোর পরিশ্রম করছে। তারা যাতে আবার মাঠে ফিরতে পারে তার জন্য আমার চেষ্টা করছি। আর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি তাদের ওপর আরো চাপ বাড়াবে। সে জন্য এইসব ব্যাপারে কথা না বলাই ভালো।’

এই ত্রয়ীর অনুপস্থিতি ভালোভাবেই টের পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। শেষ তিনটি সিরিজে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে অজিরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-০ তে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজও ব্যর্থ হয়েছে তারা। চলতি মাসে নিজ দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও সিরিজ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে টিম অস্ট্রেলিয়ার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close