ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

নেইমারের মাইলফলকের দিনে ব্রাজিলের জয়

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ২৭ বছরে পা দিবেন। ফিটনেস ধরে রাখতে পারলে হয়তো আরো ছয় বা সাত বছর খেলে যেতে পারবেন। তবে এই অল্প সময়েই একের পর মাইলফলক ছুঁয়ে চলেছেন নেইমার। পরশুর প্রীতি ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষেও একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন পিএসজি ফরওয়ার্ড। ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় দশম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। সামনে সুযোগ আছে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটাও ভাগিয়ে নেওয়ার। পরশু আর্সেনালের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ব্রাজিল ১-০ গোলে হারিয়েছে উরুগুয়েকে। ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলটি করে নেইমার সর্বোচ্চ গোলদাতার সিংহাসনটা দখলের বার্তাটাও দিয়ে রেখেছেন পূর্বসূরীদের।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রধান অস্ত্র ছিলেন নেইমার। চোট সেরে সেলেকাওদের ‘হেক্সা’ এনেও দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে পরাজয়ে সেই স্বপ্নটা কবর দিয়েই ফিরতে হয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আর মাঠে নাটকীয় অভিনয়ের কারণে একের পর এক সমালোচনা সইতে হয়েছে নেইমারকে। কিন্তু পাঁচ মাসের মধ্যে সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পিএসজি তারকা। ক্লাব এবং জাতীয় দলের জার্সিতে যেন অন্য এক নেইমারকে দেখতে পাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব।

পরশু যেমন ভেঙে দিলেন পেলের গোলরক্ষক খ্যাত গিলমারের রেকর্ড। গিলমার ৯৪ ম্যাচ খেলেছেন দেশের হয়ে। নেইমারের হলো ৯৫। তার সামনে বেশ বড় বড় সব নামÑ রোনালদিনহো (৯৭), রোনালদো (৯৮), দালমা সান্তোস (৯৮), রবিনহো (১০০), ক্লদিও তাফারেল (১০১), লুসিও (১০৫), দানি আলভেজ (১০৭), রবার্তো কার্লোস (১২৫) ও সবার শীর্ষে থাকা কাফু (১৪২)। নেইমার যদি আর ছয়-সাত বছর সেলেকাওদের জার্সিতে খেলেন তবে রেকর্ড যেকোনো মুহূর্তে নিজের করে নিতে পারে।

এ ছাড়া চলতি বছরেই সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে তিন নাম্বারে উঠে এসেছেন নেইমার। ৯৫ ম্যাচে ৬০ গোল করে ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন আছেন তিন নাম্বারে। আর তিন গোল করলেই টপকে যাবে ‘দ্য ফেনোমেননন’ খ্যাত রোনালদোকে। ১৮ গোল করলে ভেঙে ফেলবেন ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ফুটবল কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড। ২৬ বছর বয়সী তারকার জন্য যা মামুলি ব্যাপারই। অন্তত সাম্প্রতিক ফর্ম সেই কথায় বলছে।

তবে তাতেও কী কিংবদন্তির আসনটা পাকাপোক্ত করতে পারবে নেইমার। কারণ ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার শীর্ষ ১০ জনের তালিকার সবাই বিশ্বকাপটা উঁচিয়ে ধরতে পেরেছেন। কেবল এই জায়গায় পিছিয়ে আছেন তিনি। ব্রাজিলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ খেললেও এখনো বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠ শিরোপাটা জিততে পারেননি নেইমার। এমননিক সম্ভব হয়নি ল্যাটিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার কোপা কাপটাও। ঝুলির মধ্যে আছে কেবল ২০১৩ সালের কনফেডারেশন কাপ ও ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক। তবে তা দিয়ে যে ব্রাজিলিয়ানদের মন ভুলানো কঠিন। নেইমার কী ব্রাজিলিয়ান ‘হেক্সা’ জেতাতে পারবেন? তার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close