ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৫ নভেম্বর, ২০১৮

‘বোলারদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে’

ঝুঁকির পথে হাঁটেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর মিনিট দশেক আগে বাংলাদেশ দল জানিয়েছে তারাই ব্যাটিংয়ে নামবে। কখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, পেছনে কী ভাবনা ছিল দিন শেষে জানা গেল মেহেদী হাসান মিরাজের কথায়।

স্বাগতিকদের ৭ উইকেটে করা ৫২২ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে তৃতীয় দিন শেষে গুটিয়ে যায় ৩০৪ রানে। প্রতিপক্ষকে শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখা বাংলাদেশ দল অনেক আগেই চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিল। কাল খেলা শেষে মিরাজ ফলোঅন না করানোর পেছনের ভাবনা জানান। সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেছেন, ‘আমাদের দুই দিন সময় ছিল। ওরা ২১৮ রানে পিছিয়ে ছিল। আমরা সব সময় চেয়েছি, ওরা যেন শেষ ইনিংসে ব্যাট করে। দেখা গেল, ফলোঅনে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করে আমাদের ১০০-১৫০ রানের লক্ষ্য দিল। আমরা কেন ওই ঝুঁকি কেন নিতে যাব? আমরা চেয়েছি ওদের শেষ ইনিংসে ব্যাট করাতে। পঞ্চম দিনে উইকেট আরো ভাঙবে, বল বাড়তি টার্ন করবে। শেষ দিনের উইকেটে অনেক কিছু হতে পারে। ওরা দ্রুত উইকেট হারাতে পারে। সে সময়ে ব্যাটিংয়ের ঝুঁকিটা ওরা নিক।’

কাল চতুর্থ দিন পর্যন্ত উইকেটের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারেনি বোলাররা। তবে আশার খবর হচ্ছে উইকেট থেকে বোলারদের সহায়তা ক্রমেই বাড়ছে। তবে সেটি এখনো এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে, ভালো জায়গায় বোলিং করলে বাকিটা উইকেটই করে দেবে। কষ্ট করে নিতে হবে জিম্বাবুয়ের শেষ ৮ উইকেট। মিরাজ মনে করেন, পঞ্চম ও শেষ দিনে বোলারদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

কাল ৭ উইকেটে ২২৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে জিম্বাবুয়েকে ৪৪৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। দিন শেষে সফরকারীরা ২ ওপেনারকে হারিয়ে করে ৭৬ রান। জিততে শেষ দিনে সফরকারীদের করতে হবে ৩৬৭ রান। বাংলাদেশের দরকার আরো ৭ উইকেট (ইনজুরিতে একজন)। তবে জয়ের জন্য শুধু উইকেটের দিকে তাকিয়ে নেই মিরাজ। কঠোর পরিশ্রম করে জিম্বাবুয়েকে দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার দিকে তাদের মনোযোগ। কাল সাংবাদিক বৈঠকে মিরাজ বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের দিকেই হেলে আছে। ...কাল (আজ) একটা দিন আছে, তিনটা সেশন আছে। আমাদের বোলাররা যদি ভালো লেংথে বোলিং করতে পারে তাহলে ম্যাচটা আমাদের দিকেই থাকবে। উইকেটে আজ (বুধবার) তেমন ওঠা-নামা ছিল না। আমাদের ভালো জায়গায় টানা বোলিং করে যেতে হবে। চতুর্থ দিনের উইকেটেও কিন্তু বাড়তি কিছু হয়নি। তাই আমাদের মানসিকতাও তেমন হতে হবে... কঠোর পরিশ্রম করে উইকেট নেওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে।’

৮ বছর পর কাল টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের পর সিজদা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তার সঙ্গে সিজদা দিলেন মিরাজও। যদিও তার উদ্যাপনের কোনো উপলক্ষ্যই ছিল না। তাহলে কেন সিজদা দিয়েছেন মিরাজ? শুনুন তার মুখেই, ‘এই টেস্টে ব্যাটসম্যানরা দাপট দেখিয়েছে। এটা দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানরা যদি দাপট দেখায় তাহলে দল ভালো খেলে। এ খুশিতেই আসলে সিজদা দেওয়া। নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। তাই রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে সিজদা দিয়েছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close