ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৪ নভেম্বর, ২০১৮

পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ফাইনালের আগেই জানিয়েছিলেন, ‘পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে দেশবাসীকে গর্বিত করার জন্য আমরা জীবন দিয়ে দেব।’ অবশেষে কথা রেখেছেন গোলরক্ষক মেহেদী হাসান। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে অনবদ্য দুটি সেভ করে জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। কালকেও পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইব্রেকারে তিনটি সেভ করে বাংলাদেশকে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতিয়েছেন মেহেদী হাসান।

নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে কাল নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ গোলের ব্যবধানে। শিরোপা নির্ধারণের জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। অবশেষে মেহেদী হাসান নৈপুণ্যে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টে এক বছর পর দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের কিশোররা। ২০১৫ সালে প্রথম ঘরের মাটিতে শিরোপা জেতার সময় অবশ্য আসরের নাম ছিল অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে গত বছর থেকে টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৫ বয়সী ফুটবলারদের নিয়ে। শিরোপা জেতার পাশাপাশি ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ডও গেছে বাংলাদেশের ঝুলিতে। এ ছাড়া চার গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন বাংলাদেশের নিহাদ।

গোলরক্ষক মেহেদী কাল অবশ্য শুরুর একাদশে ছিলেন না। দ্বিতীয়ার্ধে নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে তুলে নিয়ে মেহেদীকে নামান কোচ। কোচের আস্থারও প্রতিদান দিয়েছেন মেহেদী। টাইব্রেকারে পাকিস্তানের জুনাইদ আহমেদ, আদনান জুসতিন ও মুদাসসর নজরের শট ফিরিয়ে দেন এই গোররক্ষক। অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে টাইব্রেকারে গোল করেন তৌহিদুল ইসলাম, রাজা আনসারি ও রুস্তম ইসলাম দুখু মিয়া।

কালকের ম্যাচের রেফারির প্রথম বাঁশি বাজার পর থেকে আধিপত্য নিয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশের কিশোররা। ১১তম মিনিটে রাসেল আহমেদের বাড়ানো বল ধরে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শট নিতে পারেননি নাজমুল আহমেদ শাকিল। পাঁচ মিনিট পর আবার এই মিডফিল্ডারের বাঁ-পায়ের শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তির গোল আসে ২৫তম মিনিটে। কর্নার বিপদমুক্ত করতে গিয়ে হেডে পাকিস্তানের এক খেলোয়াড় নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধে ভুলের মাশুল তুলতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে পাকিস্তান। সুফলও পেয়ে যায় দ্রুত। ৫৪তম মিনিটে বলের লাইনে ঝাপিয়ে পড়েও পাকিস্তানে মহিব উল্লাহর স্পট কিক আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ডি-বক্সের ভেতর হেলাল আহমেদ পাকিস্তানের এক খেলোয়াড়কে ফাউল করলে পেনাল্টি বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। এই গোলের পর বাংলাদেশের আক্রমণের ধার কিছুটা কমে আসে। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

বাংলাদেশের কিশোররা সাফ চ্যাম্পিয়নশিন অভিযান শুরু করেছিল মালদ্বীপকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে। পরের ম্যাচে দেওয়ার পর নেপালকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিতে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close