ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

বিধ্বস্ত অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ

মেসিবিহীন বার্সার দুর্দান্ত জয়

খেলায় না থেকেও ছিলেন মেসি। একটু পর পর টেলিভিশন ক্যামেরার চোখ খুঁজে নিচ্ছে তাকে। মেসির চোখেমুখে পরিচিত সেই হাসি। টেলিভিশন পর্দায় অনেকটাই নির্ভার দেখাচ্ছিল তাকে। নির্ভার না থাকারও তো কারণ নেইÍ তাকে ছাড়াই যে অসাধারণ খেলেছে বার্সেলোনা। ন্যু ক্যাম্পে ইন্টার মিলানকে হারাতে কোনো সমস্যাই হয়নি মেসিহীন বার্সেলোনার। বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে বার্সেলোনা জিতেছে ২-০ গোলের ব্যবধানে।

প্রথমার্ধের পুরোটা সময় বার্সেলোনার কাছে পাত্তাই পায়নি ইন্টার মিলান। ৭৪ শতাংশ সময়ই বার্সা খেলোয়াড়দের দখলে বল থাকার পরিসংখ্যান সেটাই বলছে। প্রথমার্ধে গোলমুখে বার্সেলোনা শট নিয়েছে পাঁচটি এর মধ্যে চারটিই ছিল লক্ষ্যে। আর অতিথিদের নেওয়া তিনটি শটের সবকটি বেপথু। বার্সেলোনার একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা ইন্টার মিলানের রক্ষণ। অতিথিদের বুকে প্রথম ছুরি চালান বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফিনহা। ম্যাচের ৩২ মিনিটে একাই বল টেনে ইন্টারের রক্ষণ ছুটে যান। ডানদিকে থাকা সুয়ারেজকে পাস দিয়ে নিজে চলে যান প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে। সুয়ারেজের আড়াআড়ি ক্রস থেকে ফিরতি পাসে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন রাফিনহা। এর আগেই অবশ্য গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। ১৮ মিনিটেই স্কোরলাইন ১-০ করতে পারত ভালভার্দের শিষ্যরা। ইন্টার গোলরক্ষক কোনোমতে রক্ষা করেন নিজেদের। দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টার কিছুটা খেলায় ফেরার চেষ্টা করে। তবে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। উল্টো গোলের ভালো সুযোগ হাতছাড়া করে বার্সেলোনা। সুয়ারেজের মিসে গোল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। অবশ্য ৮৩ মিনিটে আলবার গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালানরা। ইভান রাকিটিচের পাস থেকে পাওয়া বলে আড়াআড়ি শটে বল জালে জড়ান আলবা।

বার্সার জয়ের রাতটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে তাদের ঘরোয়া লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। পরশু রাতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা। ডটমুন্ড তারকা মার্কো রিউসের কাছে এই জয়টা অবিশ্বাস্য। আর ডিয়েগো সিমিওনের চোখে? আর্জেন্টাইন এই কোচ নিশ্চিতভাবেই ভীষণ ব্যথিত। অ্যাটলেটিকো কোচ সিমিমনের কাছে নজিরবিহীন।

প্রথমার্ধে অ্যালেক্স উইটসেলের গোলে এগিয়ে ছিল ডর্টমুন্ড। বিরতির পর ৭৩ থেকে ৮৩- এই ১১ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হজম করে বসে অ্যাটলেটিকো। রাফায়েল গুরেরোর জোড়া গোলের পর ৮৩ মিনিটে শেষ গোলটি ইংলিশ উইঙ্গার জ্যাডন সাঞ্চোর। এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচ জয়ের পথে মাত্র পাঁচ গোল হজমের বিপরীতে ২৬ গোল করল জার্মান ক্লাবটি। দলের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স রয়েসের চোখে, ‘অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়। ভাবা যায় না!’

সিমিনের জন্য অ্যাটলেটিকো কোচ হিসেবে এটি তার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। ২০১১ সালে স্প্যানিশ ক্লাবটির কোচের দায়িত্ব নেন এই আর্জেন্টাইন। তার হাতে ইউরোপের অন্যতম সেরা শক্তিতে পরিণত হয়েছে অ্যাটলেটিকো। এ সময়ে লা লিগা ও ইউরোপা লিগ জয়ের সঙ্গে দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও খেলেছে দলটি। লা লিগা টেবিলে এখন তারা পাঁচে আর চ্যাম্পিয়নস লিগে ‘এ’ গ্রুপে দুইয়ে রয়েছে দলটি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close