ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

মিলান ডার্বিতে ইকার্দি-জাদু

মৌসুমের প্রথম মিলান ডার্বি। স্বাভাবিকভাবে ইতালিয়ান সিরি’এ ফুটবলে দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে উত্তেজনা ছড়াবে, এমনটা তো অনুমিতই। ম্যাচ শুরুর পর থেকে দুই দল লড়াই করেছে সমান তালে। স্বাগতিক হওয়ায় অবশ্য বল দখলে মাত্র সাত শতাংশ এগিয়ে ছিল ইন্টার মিলান। কিন্তু দুই সাপে-নেউলের আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে ঠাসা লড়াইটি শেষ হতে চলছিল অমীমাংসিতভাবে। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ের খেলাও প্রায় শেষের দিকে। এমন সময় দৃশ্যপটে হাজির ইন্টার অধিনায়ক মাউরো ইকার্দি। শেষ আক্রমণ হিসেবে এসি মিলানের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছে নেরাজ্জুরিরা। মাতিয়াস ভাসিনোর ভাসিয়ে দেওয়া বলে মাথা ছোঁয়ালেন ইকার্দি। এরপরই চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর আনন্দে মেতে উঠল লুসিয়ানো স্পেলেত্তির শিষ্যরা। পরশু সান সিরোতে নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে ইন্টার মিলান ১-০ গোলে হারিয়েছে এসি মিলানকে।

অথচ এসি মিলান রক্ষণভাগে শক্তিটা আরেকটু বাড়ানোর জন্য গোল হজমের কয়েক সেকেন্ডে আগে (৯০+২ মিনিটে) কালাব্রিয়াকে বদলি হিসেবে নামিয়েছিলেন আবাটেকে। আর তাই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল গেনারো গাত্তুসোর জন্য। এই নিয়ে টানা সাত মিলান ডার্বিতে হারতে হয়েছে রোজোনেরিদের। ২২২টি মিলান ডার্বিতে ৭৯ ম্যাচে জিতে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। ইন্টার মিলান জয় পেয়েছে ৭৬ ম্যাচে। বাকি ৬৭ ম্যাচে কোনো ফল হয়নি।

এমনিতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের দেখলে জ্বলে উঠেন ইকার্দি। কালকেও তার ব্যত্যয় হলো না। অবশ্য গত মৌসুমের মতো এবারও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন আর্জেন্টাইন ফরওয়ার্ড। গত চার ম্যাচে পাঁচ গোল করে প্রতিপক্ষকে সেই বার্তাটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। অবশেষে জ্বলে উঠলেন পরশু শেষ মুহূর্তে।

ম্যাচের আকর্ষণটি অবশ্য কেড়ে নিয়েছিল অফসাইড। দুই দলই একটি করে গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডে। ১২ মিনিটে হেড থেকে ইন্টারকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ইকার্দি। এবারও বলটির যোগানদাতা ছিলেন ভাসিনো। প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার আগে এসি মিলানের মাতেও মোসাক্কিওর হেড থেকে করা গোলটিও বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।

তবে পুরো ম্যাচে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন দুই মিলান গোলরক্ষক। ইন্টারের সামির হান্দানোভিচ ও মিলানের জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা বল ঠেকিয়েছেন আটটি করে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দোন্নারুম্মা পজিসনে ভুল না করলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত মিলান। তবে পরাজয়ের কারণটি গোলরক্ষকের ঘাড়ে চাপাননি কোচ গাত্তুসো। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি দল হিসেবে খেলেছি। হারের পর কারো দোষ একার নেই। আমরা কিছুটা ছন্নছাড়া ছিলাম এবং গোল হজম করেছি। যে কারণেই হারতে হয়েছে।’

তবে ইন্টার কোচ শুনিয়েছেন অন্য কথা। মিলানের শারীরিক খেলাকে দৃষ্টিকটু হিসেবে দেখছেন স্পেলেত্তি। তিনি বলেন, ‘মিলান যে এমন টেকনিক্যাল তা জানতাম না। তারা এমন শারীরিক খেলা খেলবে তা আশা করিনি।’ এ জয়ে ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইন্টার। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২ নম্বর স্থানে রয়েছে এসি মিলান। ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে জুভেন্টাস।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close