ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২১ অক্টোবর, ২০১৮

‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক সিরিজ হবে’

তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে জিম্বাবুয়ে। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। তবে টাইগারদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতিটা মোটেও ভালো হয়নি জিম্বাবুয়েনদের। সৌম্য সরকারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ে প্রস্তুতি ম্যাচটা হেরেছে আট উইকেটের ব্যবধানে। বিকেএসপির ম্যাচটিতে সতীর্থদের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পাশে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। প্রতিকূল পরিবেশে জিম্বাবুয়েন অধিনায়ক খেলেছেন ১০২ রানের চমৎকার ইনিংস।

এমনিতে একের পর এক হারে বিপর্যস্ত অবস্থা জিম্বাবুয়ে শিবির। বাংলাদেশ সফরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তারা। তবে এবার পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে নতুন শুরু করতে চান মাসাকাদজা। কাল সংবাদ সম্মেলনে এসে জিম্বাবুয়েন অধিনায়ক বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমাদের সময়টা ভালো কাটেনি এবং গতকালের (শুক্রবার) ম্যাচেও। আমরা আগামীকালের (রোববার) ম্যাচ আর এই সফর থেকে যা অর্জন করতে পারি সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি। এখান থেকে আমরা কেবল সামনের দিকেই যেতে পারি। দলের সবাই সেদিকে তাকিয়ে আছে।’

জিম্বাবুয়ে শেষ জয়টি পেয়েছে গত মার্চে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর পর আর জয়ের মুখ দেখেনি তারা। যার ফলে আগামী বছর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে মাসাকাদজা-চিগুম্বুরাদের। মার্চের পর এখন পর্যন্ত ১০টি ওয়ানডে ও ছয়টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে তারা। জয় নেই একটিতেও। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষেও ২০১০ সালের পর জয় পায়নি জিম্বাবুয়ে। একসময় বাংলাদেশের প্রধান প্রতিপক্ষই ছিল জিম্বাবুয়ে। দুই দলের ঘরোয়া সিরিজ আয়োজনও হতো বেশ ঘন ঘন। ফলে প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশনটা বেশ পরিচিত মাসাকাদজার, ‘জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশিবার মুখোমুখি হয়েছে। আমাদের কাছে এখানকার কন্ডিশনটা খুব পরিচিত। একটি দল হিসেবে আমাদের ভালো সুযোগ আছে। আমি মনে করি, সিরিজটি খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে।’

তবে মাসাকাদজা যতই আশার কথা শোনান না কেন, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড কিন্তু বেশ জটিলতার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে কোচিং থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন হিথ স্ট্রিক ও তার সহযোগীরাও। এই ব্যাপারে মাসাকাদজা বলেন, ‘কোচিং কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে ঠিক তবে খেলোয়াড়রা অপরিবর্তিতই আছে। এটিই আপাতত আমাদের সবচেয়ে বড় সুবিধা।’

প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেও মূল সিরিজ থেকে জিম্বাবুয়ে স্বরূপে ফিরবে মনে করেন মাসাকাদজা। তবে তার যত ভয় স্পিন নিয়ে। চোটের কারণে বাংলাদেশ দলে নেই সাকিব আল হাসান। তবে মাসাকাদজার যত উদ্বিগ্নতা এখন মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে। উদ্বিগ্নতাটি তিনি না লুকিয়ে বলেন, ‘আমি মেহেদীর বিপক্ষে কিছু ম্যাচ খেলেছি। আমরা তাকে অনেক দেখেছি। জানি সে কী করতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্পিন এখানে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। আমরা তার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। এটা অবশ্যই আমাদের ভাবনার ভেতরে আছে। আপনি যখন উপমহাদেশে খেলতে আসবেন তখন অবশ্যই স্পিনের দিকে আপনার মনোযোগ থাকবে।’

তবে জিম্বাবুয়ের জন্য খারাপ খবর হচ্ছে স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমারের চোট। যার কারণে এই সিরিজে খেলতে পারছেন না ক্রেমার। এসব বাদ দিয়ে ইতিবাচকতার দিকেই জোর দিচ্ছেন মাসাকাদজা, ‘মূল ব্যাপার হলো আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। নিজেদের সামর্থ্যরে ওপর আস্থা রাখতে হবে। আমাদের স্পিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।’

শেষদিকে বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা করতেও ভুললেন না মাসাকাদজা। সেই সঙ্গে নিজেদের সুযোগটাও জানালেন দৃঢ়

চিত্তে, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে প্রচুর উন্নতি করেছে। আমরা তাদের বিপক্ষে খেলেছি তাই আমাদের অনেক সুযোগ আছে এখানে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close