ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৮ অক্টোবর, ২০১৮

শেষ মুহূর্তে ব্রাজিলের নাটকীয় জয়

ব্রাজিল ১ - ০ আর্জেন্টিনা

রেফারি তখন শেষ বাঁশি বাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর্জেন্টিনা আর কয়েক সেকেন্ড গোল পোস্টটা অক্ষত রাখতে পারলেই স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত। কিন্তু যোগ করা সময়টা অভিশাপ হয়ে এলো আলবিসেলেস্তে শিবিরে। নেইমারের নিখুঁত কর্নার কিক খুঁজে নিল মিরান্ডার মাথা। আর তাতেই লেখা হয়ে গেল আর্জেন্টিনার পরাজয়। হোক না প্রীতি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ যখন দুই ল্যাটিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর তখন ম্যাচটিতে নাটকীয়তা ছড়াবে না তা তো হতে পারে না। অবশেষে সৌদি আরবের জেদ্দার প্রীতি ম্যাচটিতে সেলেকাওরা ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আরেক ল্যাটিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনাকে।

রাশিয়া বিশ্বকাপের পরপরই সাময়িক বিরতিতে যাওয়ায় দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি ছিলেন না। ছিলেন না সার্জিও আগুয়েরো ও গঞ্জালো হিগুয়েনের মতো তারকারা। ভারপ্রাপ্ত কোচ লিওনেল স্কালোনির স্কোয়াডে বড় তারকা বলতে ছিলেন মাউরো ইকার্দি ও পাওলো দিবালা। কিন্তু ব্রাজিল শিবিরে নেইমার, ফিলিপ্পে কুতিনহো, রবার্তো ফিরমিনোরা যে তুমুল ফর্মে আছে! পরশু ম্যাচের পুরোটা সময় ছড়ি ঘুরিয়েছে তারা। একের পর এক আক্রমণে বিধ্বস্ত রেখেছে আর্জেন্টাইনদের রক্ষণভাগ। পুরো ম্যাচে ৬৭ শতাংশ বল ছিল কোচ টিটের শিষ্যদের পায়ে। কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণদুর্গে এসে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিল তারা। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ড্র হতে যাচ্ছে ম্যাচটি। কিন্তু ব্যবধানটা গড়ে দিলেন নেইমার-মিরান্ডা। যোগ করা সময়ে (৯০+৩) দুর্দান্ত কর্নার কিক থেকে মিরান্ডা স্বস্তির জয় এনে দেন ব্রাজিলকে।

এই কর্নার থেকে একটি রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন নেইমার। এই নিয়ে ৯০ ম্যাচে সেলেকাওদের জার্সিতে ১০০টি গোলে অবদান রেখেছেন পিএসজি ফরওয়ার্ড। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হয়ে সরাসরি ৫৯টি গোল করেছেন তিনি। সহায়তা করেছেন ৪১ গোলে। পরশুর ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। মোট ১০৩ বার বল স্পর্শ সাতটি ড্রিবলিং করেছেন নেইমার।

পরশু পুরো ম্যাচে দুই দল মিলে গোলমুখে শট নিয়েছে ২৩টি। এর মধ্যে ব্রাজিলের শট ১২টি অন্য ১১টি শট নিয়েছে আর্জেন্টিনা। মোট শটের বেশির ভাগই আবার দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মাত্র চারটি শট। নেইমার-জেসুসরা তিনটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারলেও ইকার্দি-দিবালারা গোলমুখে শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিলেন মাত্র একটি। পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনার চেয়ে ভালো খেলেছে ব্রাজিল। কোচ টিটেও বলেছেন সেই কথা। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল, জেতার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্রাজিল তুলনামূলক ভালো দল ছিল এবং দলীয় পারফরম্যান্সের পুরস্কার এই গোল। গোলটা অন্য সময় হতে পারত। কিন্তু হলো শেষ মুহূর্তে। দল খেলায় মনোযোগ রেখেছিল। ম্যাচে আমরা যে গুরুত্ব দিয়েছিলাম তার ফল ছিল এই কর্নার।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close