ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১০ অক্টোবর, ২০১৮

সেট পিসে ভয় বাংলাদেশের

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ম্যাচে ‘বি’ গ্রুপের লড়াইয়ে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৮ ধাপ এগিয়ে থাকা লাওসের বিপক্ষে এক গোলের জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে লাল-সবুজরা লড়াই করেও হেরেছে ফিলিপাইনের বিপক্ষে। কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে আজ ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে কোচ জেমি ডে’র শিষ্যরা মুখোমুখি হবে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ দল ফিলিস্তিনের বিপক্ষে।

সেমিতে ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশের এখন চিন্তার বিষয় প্রতিপক্ষের উচ্চতা নিয়ে। টুর্নামেন্টে ফিলিস্তিনের তিন গোলের দুইটি এসেছে হেড থেকে। দুটি গোলই করেছেন দলটির ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা দুই খেলোয়াড় আবদুলাতিফ আলবাহাদারি ও খালেদ সালেম। জেমি ডে’র ভাবনাটা এখন তাই ফিলিস্তিন খেলোয়াড়দের উচ্চতা নিয়ে। ‘সেট পিস’ গোল করতে উস্তাদ ফিলিস্তিন। তবে এসব কিছুকে তেমন গা করছেন না অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তিনি চান সতীর্থরা যেন এসব মাথায় না রেখে নিজেদের উজাড় করে খেলে। বাংলাদেশের সামনে ২০১৫ সালের পর এ প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ।

রক্ষণভাগে থাকা তপু বর্মন, বিশ্বনাথ ঘোষ, ওয়ালী ফয়সাল, টুটুল হোসেন বাদশা, সুশান্ত ত্রিপুরা, রহমত মিয়ার মধ্যে সবচেয়ে লম্বা বাদশা। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। তপু লম্বায় ৫ ফুট সাড়ে ৯ ইঞ্চি। তবে গত দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ‘সেট পিস’ থেকে সুযোগ নিতে দেয়নি বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন ফিলিস্তিন তখন কিছুটা ভয় কাজ করছে কোচের মধ্যেও। তার জন্য সদা সতর্ক থাকতে বলেছেন রক্ষণভাগকে, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত সেট পিসে ডিফেন্ডাররা ভালো করেছে। তবে ফিলিস্তিন ম্যাচে এটা কঠিন হবে। কেন না তাদের দলে কয়েকজন লম্বা খেলোয়াড় আছে, যারা সেট পিসের সুযোগ কাজে লাগাতে পারদর্শী।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে ওদের কড়া পাহারায় রাখতে হবে আমাদের। আগে আমরা সেট পিসে ভালো করেছি, আশা করি আমরা সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারব।’

জামাল ভূঁইয়াও আত্মবিশ্বাস নিয়ে সুর মিলিয়েছেন কোচের সঙ্গে। তার চিন্তায় ‘ছোট ছোট কৌশল’ কাজে লাগিয়ে সেট পিস সামাল দেওয়া। কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ওদের লম্বা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে আমাদের আগ্রাসী হতে হবে। ওরা তাজিকিস্তান ও নেপালের বিপক্ষে হেডে গোল করেছে। তাই আমাদের সেট পিস পরিস্থিতিতে বাঁচতে হলে এবং ওদের হেড করা থেকে বিরত রাখতে ছোট ছোট সব কৌশল কাজে লাগাতে হবে।’

এ পর্যন্ত দুই দলের দেখা হয়েছে তিনবার। তার মধ্যে দুইটি জয় পেয়েছে ফিলিস্তিন। ২০০৬ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close