ক্রীড়া ডেস্ক

  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বাংলাদেশের ৬টি দুঃস্বপ্ন

শিরোপার খুব কাছাকাছি গিয়েও আরেকবার স্বপ্ন হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। এ নিয়ে মোট ছয়বার আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল থেকে ট্রফিবিহীন ফিরতে হলো টাইগারদের। এর মধ্যে চারটি ওয়ানডে টুুর্নামেন্ট ও দুটি টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশের জুজুর নাম যেন ভারত। দুইবার এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছেন মাশরাফিরা। চলতি বছর নিদাহাস ট্রফিতেও বাংলাদেশের দুঃস্বপ্নের নাম হয়ে থাকল ভারত। আজ একই দলের বিপক্ষে ছয় নাম্বার অধ্যায়টিও লেখা হয়ে গেল দুবাইতেÑ

ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ, মিরপুর, ২০০৯

বাংলাদেশ : ৪৯.৪ ওভারে ১৫২

শ্রীলঙ্কা : ৪৮.১ ওভারে ১৫৩/৮

ফল : শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে জয়ী

বাংলাদেশের সামনে তখন প্রথম বহুজাতিক কোনো টুর্নামেমেন্টে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু আশার তরীটাকে ডুবিয়ে দিলেন শ্রীলঙ্কান মুত্তিয়া মুরালিধরন। লঙ্কান কিংবদন্তি বল হাতে নয়, ব্যাট হাতে দুঃস্বপ্ন উপহার দেন বাংলাদেশকে।

মিরপুরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১৫২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় টাইগাররা। মুরালি যখন ব্যাটিংয়ে তখন শ্রীলঙ্কা আট উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে ধুকছে। এরপরই ১৬ বলে ৩৩ রান করে বাংলাদেশের মুঠো থেকে শিরোপা কেড়ে নেন মুরালি।

এশিয়া কাপ ফাইনাল, মিরপুর, ২০১২

পাকিস্তান : ৫০ ওভারে ২৩৬/৯

বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৩৪/৮

ফল : পাকিস্তান ২ রানে জয়ী।

স্মৃতিটা এখনো তরতাজা বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে। প্রথমবার বড় কোনো আসরের ফাইনালে উঠেছিল টাইগাররা। পাকিস্তানের ২৩৬ রানের জবাবে শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৯ রান। মাহমুদউল্লাহ-রাজ্জাক পাঁচ বলে নিতে পারলেন পাঁচ রান। শেষ বলে চার মারলেই জিতে যেত পারত টাইগাররা। কিন্তু ক্রিজে থাকা শাহদাত নিতে পারলেন এক রান। ম্যাচ শেষে শিরোপা হারানোর যন্ত্রণায় মাঠেই চোখ ভিজিয়ে তুলেন সাকিব-মুশফিকরা।

এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি, মিরপুর, ২০১৬

বাংলাদেশ : ১৫ ওভারে ১২০/৫

ভারত : ১৩.৫ ওভারে ১২২/২

ফল : ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।

বৃষ্টিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি নেমে এসেছিল ১৫ ওভারে। এবারও সেই পুরনো ভেন্যু-মিরপুর। তবে এখানে কোনো টাইগারদের আফসোসের কোনো সুযোগ দেয়নি ভারত। ১২০ রানের লক্ষ্য পার হয়ে যায় ১৩.৫ ওভারে।

ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ, মিরপুর, ২০১৮

শ্রীলঙ্কা : ৫০ ওভারে ২২১

বাংলাদেশ : ৪১.১ ওভারে ১৪২

ফল : শ্রীলঙ্কা ৭৯ রানে জয়ী।

টুর্নামেন্টের প্রথম দেখায় বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল ১৬৩ রানে। কিন্তু মিরপুরের ফাইনালে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলেতে পারেনি টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার ২২১ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪২ রানে। ৭৯ রানে হেরে আরেকবার লঙ্কানদের হাতে শিরোপা তুলে দেয় বাংলাদেশ।

নিদাহাস টি-টোয়েন্টি, কলম্বো, ২০১৮

বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৬৬/৮

ভারত : ২০ ওভারে ১৬৮/৬

ফল : ভারত ৪ উইকেটে জয়ী।

কলম্বোর মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। সিরিজটি ছিল বিতর্কে পরিপূর্ণ। কিন্তু ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খুব কাছে গিয়েও দিনেশ কার্তিকের ব্যাটিং নৈপুণ্যে হেরে বসে টাইগাররা। জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল এক বলে ছয় রান। আর সৌম্য সরকারের শেষ বলে ছক্কা মেরে আরেকবার বাংদেশের শিরোপা স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।

এশিয়া কাপ, দুবাই, ২০১৮

বাংলাদেশ : ৪৮.৩ ওভারে ২২২/১০

ভারত : ৫০ ওভারে ২২৩/৭

ফল : ভারত ৩ উইকেটে জয়ী।

পরশু একেবারেই আনকোরা ওপেনিং জুটি নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। লিটন দাসের সঙ্গে মেহেদী মিরাজ। সেখানে বিনা উইকেটে ১২০! কিন্তু মিরাজের পতনের পরপরই ৩১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। লিটন সেঞ্চুরি করে শেষ পর্যন্ত টাইগারদের এনে দেন ২২২ রানের পুঁজি। কিন্তু বোলিং নৈপুণ্যে ভারতকে প্রায় হারাতে বসে ছিল মাশরাফিরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে শেষ ওভারে নিয়ে যাওয়া ম্যাচটি আরেকবার তুলে দিতে হয় ভারতকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close