ক্রীড়া প্রতিবেদক, দুবাই থেকে

  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা মুশির

পাকিস্তানকে হারানোটা যেন এক প্রকার নিয়মে পরিণত করে ফেলেছে বাংলাদেশ। শেষ চারবারের দেখায় প্রতিবারই পাক বাহিনীকে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে টাইগাররা। পরশু আবুধাবিতে প্রাপ্ত এই জয়ের স্বাদটা অবশ্য একটু অন্যরকম। ৩৭ রানের দারুণ জয়ে ২০১২ এশিয়া কাপ ফাইনালে হারের একটা প্রতিশোধও নেওয়া হলো বাংলাদেশের। মাশরাফিদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় পাক বাহিনী।

ইনজুরি নিয়ে দেশে ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল। চোট কেড়ে নিয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকেও। চলমান এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে ঢাকার বিমানে চড়তে হয়েছে তাকে। দলের অন্যতম সেরা দুই তারকাবিহীন ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের। মুদ্রা নিক্ষেপের লড়াইয়ে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে টাইগাররা।

এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির পরও ৩৭ রানের দারুণ জয়ে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ। টাইগারদের এই জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিম। কাল এই ব্যাটসম্যানের ৯৯ রানের ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে ২৩৯ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে সেটা আগলে রাখে টাইগাররা।

এই জয়টা বিশেষ কিনা জানতে চেয়ে পাকিস্তানি এক সংবাদকর্মী প্রশ্ন ছুড়েছিলেন মুশফিকের কাছে। মাঠের ভেতরে পাকিস্তানি পেসারদের বাউন্সার সামলানো প্রশ্নের উত্তরে বাউন্ডারি হাঁকালেন মুশি। বলেছেন, ‘এটা স্রেফ আরেকটি ম্যাচ। পাকিস্তান বা কোনো দলের বিপক্ষে ম্যাচ বিশেষ কিছু নয়। আফগানিস্তান ভালো প্রতিপক্ষ ছিল। শ্রীলঙ্কা বিদায় নিলেও ওরা বিপজ্জনক দল। তবে কোনো দলই ছোট নয়।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় টুর্নামেন্টে বড় একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত। পর পর দুই টুর্নামেন্টের ফাইনালে তো এই দলের কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের। ঘুরে ফিরে সেই দলটির সঙ্গে আরেকটি ফাইনালে আজ মোকাবিলা করবে টাইগাররা। এবার দুঃস্মৃতির ক্ষতে প্রলেপ দিতে আশাবাদী মুশফিক, ‘আমাদের সামনে তৃতীয়বার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার হাতছানি ছিল। এ জন্য ছেলেরা উজ্জীবিত ছিল। আশা করছি এবার আমরা এক নম্বর হতে পারব।’

পরশু আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অমøমধুর অভিজ্ঞতা হয়েছে মুশফিকের। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে এক রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ আছে মুশির। তবে ৯৯ রানের ইনিংসটাকে ক্যারিয়ারের সেরা পাঁচে ঠাই দিলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। বলেছেন, ‘এটা আমার সেরা পাঁচ ইনিংসের মধ্যে থাকবে। ওই সময় একটি জুটি আমাদের দরকার ছিল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। তবে পাকিস্তানের পেস বোলিংয়ের যে মান তাতে আগে থেকেই জানতাম শুরুতে আমরা দুই উইকেট হারাতে পারি। কিন্তু আমরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি সেটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।’

শুরুতে তিন উইকেট খোয়ানের পর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড ১৪৪ রানের জুটি গড়েন।এদিন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে মিঠুন আউট হয়েছেন ৬০ রানে। সতীর্থকে তার প্রাপ্য প্রসংশাটুকু দিতে কার্পণ্য করলেন না মুশফিক, ‘মিঠুনকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। প্রথম ম্যাচে ভালো করার পর ভালো করতে পারছিল না। আজকে (বুধবার) ও দারুণ খেলেছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close