ক্রীড়া প্রতিবেদক, দুবাই থেকে

  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

‘আমরা আরেকবার লড়ব’

বাংলাদেশকে সমীহ ধাওয়ানের

গত কয়েক বছরে বদলে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এ নিয়ে এশিয়া কাপের চার আসরের তিনটিতেই ফাইনালে উঠেছে টাইগাররা। গত মার্চেও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তিন তিনটি ফাইনাল খেললেও শিরোপা হাতছোঁয়া দূরত্বে রেখে আসতে হয়েছে মাশরাফিদের। বারবার তীরে এসে তরি ডোবায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আজ আরো একবার স্বপ্নপূরণের হাতছানি টাইগারদের সামনে। এবার সুযোগটা হাতছাড়া করতে নারাজ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। খুব করেই চাচ্ছেন ভারতকে হারিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলা এশিয়া কাপের এবারের আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। অনেক ঝড়ঝাপ্টা সামলে আয়োজকদের নিরাশ করে টুর্নামেন্টের শেষ ধাপে চলে এসেছেন মাশরাফিরা। টানা দ্বিতীয়বার এশিয়া কাপের ফাইনালে আসার পথে টাইগারদের হারাতে হয়েছে দলের অন্যতম সেরা দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে।

তামিম অবশ্য টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলেই ছিটকে গেছেন আসর থেকে। সাকিবকে ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিতি সেমিফাইনালে বাংলাদেশ জিতেছে ৩৭ রানে। আজ এ মানিকজোড়কে ছাড়া আরো একটা ম্যাচ খেলতে হচ্ছে মাশরাফিদের। ভারতের তুলনায় শক্তির দিক থাই কিছুটা হলেও পিছিয়ে আছে গত আসরের ফাইনালিস্টরা। তবে মানসিকভাবে বেশ চাঙ্গা বাংলাদেশ। কাল টিম হোটেলে আয়োজিত ফাইনাল পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়ক বলেছেন, ‘সাকিব ও তামিমের মতো পারফর্মাররা এই টুর্নামেন্টে খেলছে না, তাই সবকিছুই কঠিনই ছিল। তামিম তো শুরুর দিন থেকেই নেই। কিন্তু ভালো দিক হচ্ছে, ছেলেরা হাল ছেড়ে দেয়নি। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান ও সুপার ফোরে ভারতের কাছে হারলেও ছেলেরা পাল্টা লড়ে গেছে, খুব ভালো করেছে। এখনো একটা ম্যাচ বাকি, আশা করছি আমরা আরেকবার লড়ব।’

বাংলাদেশের এই লড়াকু মনোভাবকে সমীহ করছে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগাররা যেভাবে জিতেছে তাতে করে সতর্ক ভারত। প্রতিপক্ষ হিসেবে মাশরাফিদের প্রতি সম্মান রেখে কাল সাংবাদিক বৈঠকে শিখর ধাওয়ান বলেছেন, ‘আমার মনে হয় ওদের দলটা ভারসাম্য। তাদের শক্তি সম্পর্কে আমরা জানি। ওরা অনেক উন্নতি করেছে। ওর কঠিন প্রতিপক্ষ। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে জিতেছে তাদের টুপি খোলা অভিনন্দন। আগের ম্যাচে তাদের জন্য যেভাবে পরিকল্পনা করেছিল এবারো তেমন কিছু করার চেষ্টা করব। কন্ডিশন একই থাকবে। তাদের ব্যাটসম্যানদের ভিডিও ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ করে আমরা মাঠে নামার পরিকল্পনা করছি।’

পরিকল্পনা বাংলাদেশেরও আছে। সেটা অবশ্য টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের বাদ দিয়েই বলা চলে। কারণ এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনাররা। প্রতিটি ম্যাচেই ১৮ রানের মধ্যে শুরুর ২ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের জেতা প্রতিটি ম্যাচেই দলের ত্রাণকর্তা হয়ে উঠেছেন মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। মাশরাফি তাই কিছুটা হলেও নির্ভার। তবে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের দিকেও তাকিয়েছে আছেন তিনি।

কাল সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচেই তো উদ্বেগ নিয়ে নেমেছি। আফগানিস্তান ম্যাচ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা ম্যাচই ফাইনালের মতো ছিল। এটা ঠিক সব সময় মিডল অর্ডারের ওপর চাপ পড়লে সেটা কঠিন হয়ে যায়। চাপ পড়লে যে সব সময় উতরে যাব তা নয়। আশা করি টপ অর্ডার ক্লিক করবে। যদি না করে তাহলে যারা আছে তাদের খেলতে হবে। এটা নিয়ে আলাদা কিছু ভেবে লাভ নেই। যা হওয়ার তাই হবে।’

ফাইনালের পথে বাংলাদেশ-ভারত

গ্রুপ এ

ভারত-হংকং (ভারত ২৬ রানে জয়ী)

ভারত-পাকিস্তান (ভারত ৮ উইকেটে জয়ী)

গ্রুপ বি

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা (বাংলাদেশ ১৩৭ রানে জয়ী)

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান (বাংলাদেশ ১৩৬ রানে পরাজিত)

সুপার ফোর

ভারত-বাংলাদেশ (ভারত ৭ উইকেটে জয়ী)

ভারত-পাকিস্তান (ভারত ৯ উইকেটে জয়ী)

ভারত-আফগানিস্তান (টাই)

বাংলাদেশ-ভারত (বাংলাদেশ ৭ উইকেটে পরাজিত)

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান (বাংলাদেশ ৩ রানে জয়ী)

বাংলাদেশ-পাকিস্তান (বাংলাদেশ ৩৭ রানে জয়ী)

ফাইনাল

ভারত বনাম বাংলাদেশ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close