ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

‘এই ট্রফি আমার একার নয়’

ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো যখন বর্ষসেরা খেলোয়াড় ঘোষণার জন্য মঞ্চে উঠলেন তখন ক্যামেরা ঘুরে গেল লুকা মডরিচ ও মোহাম্মদ সালাহর দিকে। ক্যামেরা আরেকজনের দিকে ঘুরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেরা তিনে থাকলেও লন্ডনে আসেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। গত উয়েফা বর্ষসেরা অনুষ্ঠানেও ছিলেন না সিআর সেভেন। এবারও হয়তো পর্তুগিজ উইঙ্গার আগে থেকে জেনে গিয়েছিলেন পুরস্কারটা কার হাতে যাচ্ছে। ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তিন তালিকায় ছিলেন মডরিচ, রোনালদো ও সালাহ। টানা ১০ বছর ধরে পুরস্কারটি ভাগাভাগি হয়েছে রোনালদো ও লিওনেল মেসির মধ্যে। দুজনই জিতেছেন পাঁচবার করে। তাদের বাইরে ২০০৭ সালে শেষবার জিতেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা কাকা। কিন্তু এবার এক যুগ পর সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন না মেসি। আর্জেন্টাইন ফরওয়ার্ডও ছিলেন না অনুষ্ঠানে।

১০ বছর রোনালদো-মেসির রাজত্ব কেড়ে নিয়ে ফিফা দ্য বেস্টের পুরস্কারটা জিতেছেন মডরিচ। এই বছরটা দারুণ কেটেছে ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডারের। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে জিতেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। সেই সঙ্গে মধ্যম সারির দল হওয়া সত্ত্বেও ক্রোয়াটদের প্রায় একক নৈপুণ্যে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে গেছেন। জিতেছেন আসরের গোল্ডেন বল। ব্যালন ডি’অর পুরস্কারেও অন্যতম দাবিদার মডরিচ। পুরস্কার জিতে মডরিচ ধন্যবাদ বলেন, ‘এই ট্রফি কেবল আমার একার নয়, এটা আমার রিয়াল মাদ্রিদ আর ক্রোয়েশিয়ার সতীর্থদের। আমার কোচদের ছাড়া আমি এটা জিততে পারতাম না। আমার পরিবার ছাড়া আমি যে খোলোয়াড় তা হতে পারতাম না।’

রিয়াল মিডফিল্ডার ফিফার বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে ভোটে পেছনে ফেলেছেন সাবেক ক্লাব সতীর্থ রোনালদো ও সালাহকে। মডরিচ পেয়েছেন ২৯.০৫% ভোট। ১৯.০৮% শতাংশ ভোট পেয়েছেন নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো। ১১.২৩% ভোটে তৃতীয় হয়েছেন সালাহ। চতুর্থ স্থানটা দখল করেছেন বিশ্বকাপজয়ী কিলিয়ান এমবাপ্পে। মেসি আছেন পাঁচ নাম্বারে।

গত মৌসুমে মেসির অর্জন কেবল বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা শিরোপা। ২০১৭-১৮ মৌসুমে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে রোনালদো রিয়ালের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, বিশ্বকাপে পেয়েছেন প্রথম হ্যাটট্রিক। সঙ্গে ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে করেছেন ৪৪ গোল। সমান গোল করেছিলেন সালাহ। লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০ ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ৩৮ ম্যাচে ৩২ গোল করেছেন রেকর্ড। অলরেডদের তুলেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। তবে চোটের কারণে বিশ্বকাপটা ভালো কাটেনি সালাহর।

সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকলেও ফিফার নির্বাচিত সেরা একাদশে জায়গা হয়নি সালাহর। তবে পুসকার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। গত মৌসুমে মার্সিসাইড ডার্বিতে এভারটনের বিপক্ষে কোণাকুণিতে শটের গোলটিকে সেরা গোলের স্বীকৃতি দিয়েছে ফিফা। কাসপার স্কেমেইকেল ও হুগো লরিসকে পেছনে ফেলে সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন থিবু কোর্তোয়া। পুরস্কার জিতলেও একাদশে জায়গা হয়নি বেলজিয়াম গোলরক্ষকের। ক্রোয়েশিয়ান দালিচ এবং সাবেক রিয়াল কোচ জিদানকে পেছনে সেরা কোচ হয়েছেন ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম। এবার থেকে ফিফা প্রবর্তন করেছে মেয়েদের মধ্যে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। তাতে ১৪.৭৩% ভোটে সেরা হয়েছেন ব্রাজিলের ফরওয়ার্ড মার্তা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close