ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দলের স্বার্থে ঝুঁকি নিচ্ছেন সাকিব

‘আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে’

তাসকিন আহমেদের মতো পেসার সুযোগ পাননি। চোটের কবলে পড়েছেন আবার শফিউল ইসলাম। সুযোগটা পেলেন আবু হায়দার রনি। দরজায় কড়া নাড়া এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টের জন্য এই তরুণ পেসারকে ডেকে পাঠিয়েছেন নির্বাচকরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের চতুর্থ পেসার তিনি। টাইগারদের পেস ইউনিটের তিন প্রধান- মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। এই ত্রয়ীর সঙ্গে লড়াই করে একাদশে জায়গা পাওয়াটা যে কঠিন সেটা আবু হায়দার নিজেও জানেন।

জাতীয় দলের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক আগেই হয়েছে এই পেসারের। এবার তিনি ডাক পেয়েছেন একদিনের ক্রিকেটে। আসন্ন এশিয়া কাপে ওয়ানডে ফরমেটে তার অভিষেকটাও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সংশয়ের বিষয় হচ্ছে একাদশে তিনি সুযোগ পাবে কি না তা নিয়ে। তবে নিজের অভিষেক নিয়ে এখনই খুব বেশি ভাবতে চান না বাঁ-হাতি এই পেসার। টুর্নামেন্টের জন্য নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করে তৈরি থাকতে চান মাঠে নামার জন্য। বাইশ গজে বৈচিত্র্যতা আনাই তার লক্ষ্য।

কাল এশিয়া কাপের অনুশীলনের ফাঁকে আবু হায়দার বলেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য বলতে যদি বলি, ম্যাচ খেলব কি না এখনো নিশ্চিত না, এটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। এখন অনুশীলন চলছে, অনুশীলনে নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করা আমার লক্ষ্য আর যদি সুযোগ পাই তাহলে কীভাবে নিজের সেরাটা দিতে পারি। বোলিংয়ে বৈচিত্র্য নিয়েও কাজ হচ্ছে। কাটারের চেষ্টা করছি, সেøায়ার-নাকল বলও চেষ্টা করছি। ইয়র্কারগুলোর চেষ্টা করছি। পারফেকশন আনার চেষ্টা করছি। হয়তো একদিনে হবে না। নিয়মিত অনুশীল করতে করতে আসবে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচে দ্যুতি ছড়িয়েছেন আবু হায়দার। দুটো সিরিজই তাকে এখন দেখাচ্ছে আশা, ‘আমার আত্মবিশ্বাস খুব ভালো আছে। খুব ভালো বোলিং হচ্ছে এখন পর্যন্ত। শেষ দুইটি সিরিজেও খুব ভালো বোলিং হয়েছে। আমি চেষ্টা করব, ওই ধারাটাই যেন রাখতে পারি।’

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানের চেয়ে নিজেদের পেস বোলিংকে এগিয়ে রাখছেন আবু হায়দার, ‘আমাদের অনেক ভালো সম্ভাবনা আছে। আমাদের পেস বোলিং বিভাগ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অনেক ভালো বোলিং করছে। এই আত্মবিশ্বাস যদি এশিয়া কাপে নিতে পারি, মনোযোগের সঙ্গে বোলিং করতে পারি তাহলে হয়তো অনেক এগিয়ে থাকব।’

ম্যাচের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সøগ ওভারে ব্যাটিং-বোলিংয়ের অনুশীলন মনে ধরেছে বাঁ-হাতি পেসারের। ব্যাটিং-বোলিং দুই দিক থেকেই নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার এটা সুবর্ণ সুযোগ তার কাছে। তিনি বলেছেন, ‘এটা কিন্তু ভালো একটা অনুশীলন। এই পরিস্থিতিগুলো ম্যাচে আসে। অনুশীলন করতে করতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আর মাথায় চলে আসবে এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হবে। যেমন, কাল প্রথম বলে একটা বাউন্ডারি হওয়ার পর চেষ্টা করেছি বাকি ৫ বলে কীভাবে রানটা আগলে রাখা যায়।’

সৌদি আরব থেকে হজ পালন শেষে দেশে ফিরেই এশিয়া কাপের মিশনে নেমে পড়েছেন সাকিব। কিন্তু হাতের আঙুলে তার অস্ত্রোপচারের কথা ছিল তার। জাতীয় দলের স্বার্থেই এশিয়া কাপের পর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনোই খুব কঠিন নয়। না খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। আমি কিন্তু কখনোই বলিনি যে এশিয়া কাপ খেলব না। আঙুলের ইনজুরির কথা ভেবেই বলছিলাম যে, যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করাতে চাই। আপাতত আরেকটা সিরিজ না হয় এভাবেই খেললাম।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close