ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মিঠুনের চ্যালেঞ্জ

লোয়ার অর্ডারে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুর্বলতা অনেক দিনের। এই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে এশিয়া কাপের দলের নির্বাচকরা ডেকে পাঠিয়েছেন আরিফুল হককে। ঘোষিত দল দিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। সুযোগ পেলে দুইজনই নিজেদের পজিশনে সবটুকু নিংড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আপাতত তাদের চোখে-মুখে খেলা করছে এশিয়া কাপের রোমাঞ্চ।

২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেনরা পারেননি এই জায়গা নিজের করে নিতে। ছয়ে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পারফরম্যান্স এই সময়টায় দুর্দান্ত। তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান গত কিছুদিনে খেলছেন মূলত পাঁচে। নিষিদ্ধ না হলে এশিয়া কাপেও সুযোগ পেতেন সাব্বির, টিম ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে এমনটিই। তবে তার নিষেধাজ্ঞা খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। যে দুয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে মিঠুন। দলে নেওয়ার পর অধিনায়ক, নির্বাচকেরা মিঠুনকে খানিকটা ইঙ্গিত দিয়েছেন তার সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে। মিঠুনও চ্যালেঞ্জটাকে লুফে নিচ্ছেন সাদরে। কাল মিরপুর অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আমি যা খেলেছি, ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করেছি সব সময়। এমনিতেই আমি উইকেটে নেমে খুব বেশি সময় নেই না সেট হতে। প্রথম থেকেই চেষ্টা করি রানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে, স্ট্রাইক রোটেট করতে। সুতরাং ছয় কিংবা সাত নম্বরে কিন্তু সেটাই গুরুত্বপূর্ণ যে নেমেই স্ট্রাইক রোটেট করতে হবে।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘এটি আমার ধরনেই আছে, তাই খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। ছোটবেলা থেকে এভাবেই খেলে অভ্যস্ত। হয়তো আগে নতুন বলে খেলতাম বা ওপরে অনেক সময় নিয়ে খেলতাম, এখন সময় কম পাব। তবে ছয় কিংবা সাতে খেললে ১১০-১১৫ বা ১২০-১৩০ স্ট্রাইক রেটে খেলতে হবে। একেক সময় পরিস্থিতি একেক রকম দাবি করবে। এই ধরনের স্ট্রাইক রেটে খেললে আমার মনে হয় যথেষ্ট ভালো হবে।’

অবশ্য পজিশন যেখানেই হোক নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে প্রস্তুত মিঠুন। তিনি বলেছেন, ‘দলের যখন কিছু প্রয়োজন হয়, তখন আসলে নিজের পছন্দকে ফোকাস করার কিছু নেই। প্রতিটি মানুষেরই জীবনে লক্ষ্য থাকে। তার সবই যে পূরণ হবে, এমন নয়। দলের স্বার্থে সব জায়গার জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। যেখানেই আমি খেলব, চেষ্টা করব শতভাগ দেয়ার এবং চাইব আমাকে দিয়ে যেন দল উপকৃত হয়।’

এশিয়া কাপে আফগান স্পিনের কাছে অগ্নিপরীক্ষা দেওয়া লাগতে পারে বাংলাদেশের। টাইগাররা প্রস্তুত হচ্ছে সেভাবেই। মিঠুন বলেছেন, ‘আমরা যে লেগ স্পিনে খুব বেশি তৈরি হব, সেই অপশনও কিন্তু নেই। বাংলাদেশে খুব বেশি লেগ স্পিনারই নেই। আমরা লেগ স্পিনার খুঁজেও পাই না। এর মধ্যেই আমরা যতটুকু অনুশীলন করতে পারি, কাজে লাগাতে পারি, যেভাবে পরিকল্পনা মাফিক খেলা যায়, সেটাই চেষ্টা করব। তবে ভালো খেলতে হলে আসলে শুধু রিস্ট স্পিনার না, প্রত্যেকটি বোলারকেই ভালো খেলতে হবে। একজন ব্যাটসম্যানের জন্য একটি বলই যথেষ্ট আউট হতে। আমাকে যদি ভালো ইনিংস খেলতে হয়, তাহলে প্রতিটি বোলারকেই আমার ভালোভাবে খেলতে হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close