ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৬ আগস্ট, ২০১৮

এশিয়া কাপ ক্রিকেট

আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। গত আসরটা টি-টোয়েন্টির হলেও এবার পুনরায় ওয়ানডেতে ফিরছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে কে ফেভারিট তা নিয়ে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা। ভারত-পাকিস্তানের মতো সফলদের ভিড়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন ওয়ানডে সংস্করণে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে?

১৯৮৪ সালে আরব আমিরাতে শুরু হয়েছিল এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটা। এবারও পুরনো ঠিকানায় ফিরছে টুর্নামেন্টটি। ১৫ সেপ্টেম্বর এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু হবে আরব আমিরাতে। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখলেও বাংলাদেশে নিয়েও আশাবাদী বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।

দুই বছর পর পর হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে আয়োজন করেছে টানা তিনবার। ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিক দর্শকদের সমর্থন আর হোম কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে এ তিনবারের দুবারই ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। হোম কন্ডিশনে ভালো করলেও দেশের বাইরে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ কখনোই ভালো করতে পারেনি। এবার আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় এ টুর্নামেন্টে সেই ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা। বিসিবির পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানও শোনালেন আশার কথা, ‘বাংলাদেশ গত দুই-তিন বছর ভালো করতে শুরু করেছে। আগে আমরা কী খেলেছি (এশিয়া কাপে) সেটা মূল্যায়ন না করি। আমরা দেশের বাইরে অনেক দুর্বল দলের কাছে যেমন হেরেছি, আবার গত তিন-চার বছর ভালোও করছি। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এমনকি টেস্টেও দেশের বাইরে ভালো করছি।’ ]সংস্করণটা ওয়ানডে বিধায় আশাবাদী বাংলাদেশ। কারণ ওয়ানডেতে ধারাবাহিকভাবে ভালো করার নজির আছে টাইগারদের। বাংলাদেশ ছাড়াও শিরোপা ছোঁয়ার লক্ষ্যে আরব আমিরাতে পা রাখবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাও। উপমহাদেশের অন্য তিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মধ্যে কাদের সম্ভাবনা বেশি দেখছেন আকরাম? বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক কিছুটা এগিয়ে রাখছেন পাকিস্তানকে, ‘পাকিস্তান একটু এগিয়ে থাকবে। তারা আরব আমিরাতকে ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে। তারপরও যে কন্ডিশন থাকবে, সেখানে আমরা খেলে অভ্যস্ত। মনে হয় না সেখানকার কন্ডিশন থেকে কেউ কোনো বাড়তি সুবিধা পাবে।’

আকরাম আরো বলেন, আরব আমিরাতকে ‘হোম গ্রাউন্ড’ হিসেবে ব্যবহার করায় এশিয়া কাপে পাকিস্তান কিছুটা এগিয়ে থাকবে। কিন্তু রেকর্ড-পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। আমিরাতে যে দুবার এশিয়া কাপ হয়েছে দুইটির কোনোটিতে রানার্স আপও হয়নি পাকিস্তান। ১৯৮৪ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত, রানার্স আপ শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৫ এশিয়া কাপেও তাই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close