ক্রীড়া ডেস্ক
‘তৃতীয় স্থানের সুবিধাটা আদায় করতে চাই’
চার দিন পেছনে ফেরা যাক। সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছে বেলজিয়াম। প্রতিপক্ষ সাবেক চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। পুরো ম্যাচ জুড়ে বেলজিয়ামের আধিপত্য। হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইন, লুকাকোরা লড়াই করছে মাঠ জুড়ে। কিন্তু ফলটা হলো ভিন্ন। ফরাসীদের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে লুঝনিকির ফাইনালের স্বপ্ন কবর দিতে হলো বেলজিয়ানদের। সেই ক্ষতটা কতোটা গভীর তা হয়তো ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। অথচ আজ সব পুরনো স্মৃতিকে একপাশে সরিয়ে রেখে এই ‘অভিশপ্ত’ সেন্ট পিটার্সবার্গে আবার নামতে হচ্ছে রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যদের। উদ্দেশ্য, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় স্থান দখলের লড়াই। যে ইংলিশদের তারা গ্রুপ পর্বে হারিয়েছিল ১-০ গোলে। আজকেও মর্যাদার লড়াইটা জিততে চাইবেন মার্টিনেজ। কারণ ‘নাই মামার চেয়ে নিশ্চয় কানা মামা ভাল।’
১৯৮৬ বিশ্বকাপেও তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিল বেলজিয়াম। কিন্তু তাতেও তাদের কপাল পুড়েছিল ফ্রান্সের বিপক্ষে। এ যেন উঠতে বসতে ফ্রান্সের উৎপাত। আসলেই তাই। একসময় যে ফরাসীদের কলোনি ছিল বেলজিয়াম। তবে আজ ইংলিশদের বিপক্ষে জিতে সেমিতে হারের ক্ষতটাতে একটু হলেও প্রলেপ দিতে চাইবে রেড ডেভিলরা। তবে এসব কিছু এখন ভাবনার বিষয় মার্টিনেজের। এই স্প্যানিশ কোচের চোখ এখন আরো প্রখর। রাশিয়াতে বসে তিনি ভাবছেন ২০২০ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপ নিয়ে। ম্যাচের আগে মার্টিনেজ বলেন, ‘আমর অধীনে বেলজিয়াম ফুটবল তরুণ প্রতিভাসম্পন্ন দারুণ কিছু সম্পদ পেয়েছে। আমি এখন নজর রাখছি ২০২০ ইউরোর দিকে। আমাদের এখন ফাইনাল ম্যাচটির দিকে চোখ রাখতে হবে। আমরা সেন্ট পিটার্সবার্গের ম্যাচটির দিকে ফিরে আসছি এবং তৃতীয় স্থানের সুবিধাটা আদায় করতে চাই। আমাদের এখন তরুণ প্রজন্মের দিকে তাকানো উচিৎ এবং আসর থেকে আসর আমাদেরকে আরো শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’
"