ক্রীড়া ডেস্ক
‘ক্রোটদের মন অনেক বড়’
মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়াম সাক্ষী হয়ে গেল নতুন এক ইতিহাসের। এই ভেন্যু জয় করেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল ক্রোয়েশিয়া। পরশু দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে এখন স্বপ্নের সোনালি ট্রফির স্বপ্নের বিভোর হয়ে আছে ক্রোটরা।
ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্ন সারথিদের একজন ডোমাগোজ ভিদা। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি সতীর্থদের জন্য গোলেরও কম বেশি সুযোগ করে আসছেন এই তারকা। ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে ওঠার কারণ হিসেবে জাতি হিসেবে নিজেদের বড় মন-মানুষিকতাটাকেই বড় করে দেখছেন এই ডিফেন্ডার।
তবে ফাইনালটা যে সহজ হবে না সেটা নিজেই বলছেন ভিদা। পরশু ম্যাচ শেষ প্রচারমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচটা সত্যি অনেক কঠিন ছিল। আমরা ১২০ মিনিট পর্যন্ত খেলেছি তবে আমরা ভালো দল এবং এই দল নিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারি। ক্রোটরা অনেক বড় মনের অধিকারী। আমরা আরো একটা ম্যাচ খেলব এবং ম্যাচটা জিততে চাইব। ফাইনালে খুব কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে তবে আমরা ক্লান্ত নই। জয়ের জন্য যা দরকার তাই করতে আমরা প্রস্তুত।’
নকআউট পর্বের দুই ম্যাচেই পিছিয়ে থেকেও টাইব্রেকারে বাজিমাত করেছে ক্রোয়েশিয়া। সেমিফাইনালে ম্যাচেও ক্রোটদের ভাগ্য হাঁটছিল পেনাল্টি শুট আউটের দিকে। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে মারিও মান্দজুকিচের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতে যায় ক্রোয়েশিয়া। তাই এবার আর স্নায়ুচাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হয় ক্রোটদের। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। ওই আসরে স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ক্রোটদের।
"