ক্রীড়া ডেস্ক
ভয় পাচ্ছে না বেলজিয়াম
দীর্ঘ ৩২ বছর পর দ্বিতীয়বারের শেষ চার নিশ্চিত করেছে বেলজিয়াম। বিশ্বকাপের আগে যাদের ভাবা হচ্ছিল ‘কালো ঘোড়া’ হিসেবে। অন্যদিকে ফ্রান্স ১৯৯৮ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টও তারা। দুই দলের লড়াইটাও বহু পুরনো। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপ এবার একই বিন্দুতে নিয়ে এসেছে দুই দলকে। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে আজ সেন্ট পিটার্সবার্গে মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপের এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। বেলজিয়ামের সামনে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠার হাতছানি। গত ম্যাচে ব্রাজিলকে হারিয়ে নিজেদের সামর্থ্যরে কথাটা জানান দিয়েছিল বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মরা। তার আগে জাপানের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত কামব্যাকের গল্প লিখে উপহার দিয়েছিল এই বিশ্বকাপের সেরা ম্যাচ। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আছে বেলজিয়াম। তাছাড়া দুর্দান্তভাবে গত দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী আছেন বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে খেলোয়াড়দের ওপর বিশ্বাস রাখছেন তিনি। ফরাসিদের বিপক্ষে বেলজিয়াম ভয়ডরহীন হয়ে খেলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘একমাত্র ভয় ছাড়া খেলাই মনে হয় আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। নিঃসন্দেহে দলটা ভয়ডরহীন খেলবে। আমরা যদি নিজেদের ভয় নিয়ে এই ম্যাচ খেলি তাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের ডুবাব এবং আমরা আসলে যেটা করতে পারি সেটার থেকে কম করতে সক্ষম হব।’ মার্টিনেজ আরো বলেন, ‘আর দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ আছে। প্রথম দিন থেকে আপনি অবশ্যই একটা দল হতে চাইবেন এবং আমি বিশ্বাস করি একটি প্রতিযোগিতায় জিততে হলে আপনাকে অবশ্যই সম্মিলিতভাবে একটা দল হয়ে খেলতে হবে।’
ভয়ডরহীনভাবে খেলার কথা জানালেও প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পে, আঁতোয়ান গ্রিজম্যানদের ব্যাপারে শিষ্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন মার্টিনেজ। এমবাপ্পে রক্ষণভাগকে ভুগাতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। ‘প্রতি আক্রমণের মতো পরিস্থিতিতে এমবাপ্পে ভিন্ন মাত্রার খেলোয়াড়। আমার কাছে ফ্রান্স দলের সেরা খেলোয়াড় এমবাপ্পে। সে খুবই গতিময় খেলোয়াড় এবং মুহূর্তেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে।’
গুরুর মতো শিষ্য কেভিন ডি ব্রুইনও একই কথা জানান সংবাদ সম্মেলনে। ব্রাজিলের বিপক্ষে ব্রুইনকে ফলস নাইনে খেলিয়েছিলেন মার্টিনেজ। বেলজিয়ামের দ্বিতীয় গোলটিও এসেছে এই ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার থেকে। এবারও হয়তো তেমন একটি ছক কষছেন মার্টিনেজ। অন্যদিকে দিদিয়ের দেশম নতুন কৌশল সাজিয়ে আটকে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচেও কৌশলে বোতল বন্দি করে রেখেছিলেন লুইস সুয়ারেজকে। এবার হয়তো ডি ব্রুইন, লুকাকো, হ্যাজার্ডদের বন্দি করার জন্য নতুন আরেকটি কৌশল সাজাচ্ছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। যদিও আজকের ফুটবলে জয়ের জন্য আপনাকে একজন দক্ষ গোলরক্ষক এবং একজন ভালো স্ট্রাইকারের প্রয়োজন। যদি আপনার হাতে এমন অস্ত্র থাকে তাহলে অবশ্যই জয় থেকে আপনি বেশি দূরে নয়।’
"