ক্রীড়া ডেস্ক
রাশিয়ার সামনে এবার উরুগুয়ে
স্বাগতিক হিসেবে রাশিয়াকে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে হয়নি। বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। তাই তো রাশিয়াকে নিয়ে খোদ রশিয়ার মানুষের প্রত্যাশা খুব বেশি ছিল না। তাদের মতো গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারলেই রাশিয়ার জন্য অনেক কিছু।
অবশ্য রাশিয়া ফুটবল দল তাদের তাদের প্রত্যাশা মিটিয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে যে দুইটি দল দুই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে তার একটি রাশিয়া। প্রথম ম্যাচে তারা সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয়। এরপর মিসরের বিপক্ষে জয় পায় ৩-১ ব্যবধানে। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ঘরের মাঠে আয়োজিত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয় তাদের। এবার তাদের সামনে ‘এ’ গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে। কিন্তু রাশিয়া যে ফর্মে আছে তাতে উরুগুয়েকে হারানোটা তাদের জন্য কঠিন কিছু হবে না।
উরুগুয়েও তাদের গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে। প্রথম ম্যাচে তারা ১-০ গোলে হারায় মিসরকে। আর পরের ম্যাচে সৌদি আরবকেও এই ব্যবধানে হারায় তারা। তাতে টানা তিন বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয় উরুগুয়ের। তবে উরুগুয়ে এখনো তাদের সেরা ফর্মে নেই। কথাটা স্বীকার করেছেন স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজও, ‘আসলে আমি গর্বিত। কারণ টানা তিন বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছি আমরা। এটা দারুণ একটি মুহূর্ত আমাদের জন্য। আমরা বিশ্বকাপটাকে উপভোগ করতে চাই। তবে আমরা আমাদের সেরা খেলাটা এখনো খেলতে পারিনি। আমাদের ছন্দে ফিরতে হবে।’
সৌদির বিপক্ষে লুইস সুয়ারেজ তার শততম ম্যাচ খেলেছিলেন। সেই ম্যাচে গোলও করেছিলন। আজ রাশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামলে শততম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন ফার্নান্দো মুসলেরা।
রাশিয়ার (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন) বিপক্ষে উরুগুয়ের অতীত পরিসংখ্যান খুব একটা ভালো নয়। আটবারের মুখোমুখিতে একবার জিতেছে উরুগুয়ে। ড্র করেছে একবার। হেরেছে ছয়বার! তবে দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোর বিপক্ষে বিশ্বকাপে রাশিয়ার পরিসংখ্যানও ভালো নয়। বিশ্বকাপে চারবার দক্ষিণ আমেরিকার দলের মুখোমুখি হয় চারবারই হেরেছে তারা। ১৯৭০ বিশ্বকাপে তারা উরুগুয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল।
ঘরের মাঠে এবার কী ভিন্ন কিছু করে দেখাতে পারবে রাশিয়া? খেলোয়াড়রা যে ছন্দে আছেন তাতে অসম্ভব কিছু নয়। তারা যে গতির ফুটবল খেলছে তাতে ছন্দহীন উরুগুয়ে উড়েও যেতে পারে।
এই গ্রুপের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই বিদায়ী দল সৌদি আরব ও মিসর। শেষ ম্যাচ জিতে সুখস্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরতে চায় তারা।
"