ক্রীড়া ডেস্ক
ইংল্যান্ডের পানামা দর্শন
রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। তরুণ তরুণ খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে দুর্দান্ত একটি প্যাকেজ তারা। তিউনিশিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে জয় পেয়েছে তারা। ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল না পেলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হতো তাদের। তিউনিশিয়া তাদের কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছে। তবে আজ হয়তো তেমন কিছুর মুখে পড়তে হবে না ইংলিশদের। কারণ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ নবাগত দল পানামা। যারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে।
এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কখনো খেলেনি পানামা। এটা হবে বিশ্বকাপে ৩৮তম ভিন্ন দেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের খেলতে নামা। বিশ্বকাপে নতুন দেশকে মোকাবিলা করার পরিসংখ্যান ইংল্যান্ডের দাপটের সাক্ষী দিচ্ছে। আগের ৩৭টি ভিন্ন প্রতিপক্ষের ৩২টির বিপক্ষেই জিতেছে ইংল্যান্ড। হেরেছে পাঁচটির বিপক্ষে। সেই তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, উরুগুয়ে, হাঙ্গেরি ও ইতালি। তারা প্রথম সাক্ষাতেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল।
এই ম্যাচে ইংল্যান্ড জয় পেলে ১২ বছর পর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ার কৃতিত্ব দেখাবে তারা। নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় রাউন্ড। এর আগে ১৯৮২ ও সবশেষ ২০০৬ বিশ্বকাপে তারা টানা দুই ম্যাচে জিতেছিল। ২০১০ বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর গন্ডি পেরোতে পারেনি। আর ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে তারা বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই।
আইসল্যান্ডের মতো প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে রূপকথার জন্ম দিতে চেয়েছিল পানামা। কিন্তু পারেনি। আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে খেলবে। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে তাদের হারলে চলবে না। তবে এর আগে ইউরোপের ১০টি দলের বিপক্ষে খেলে একটিতেও জয় পায়নি তারা। পরিসংখ্যান তাদের পিছিয়ে রাখছে। কিন্তু প্রশ্ন যখন বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার, তখন কোনো পরিসংখ্যানই হয়তো তাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।
"