ক্রীড়া ডেস্ক
জাপান-সেনেগালের নকআউট পর্বে ওঠার লড়াই
রাশিয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গ্রুপ হচ্ছে ‘এইচ’। অন্য সাত গ্রুপে বিশ্বকাপজয়ী দল থাকলেও এই গ্রুপে তা নেই। শক্তির বিচারে চারটি দলকেই রাখা যায় একই কাতারে। প্রমাণটা এরই মধ্যে পেয়েছে দর্শকরা। গত আসরের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট কলম্বিয়াকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে এশিয়ান পরাশক্তি জাপান। অন্যদিকে ইউরোপ শক্তি পোল্যান্ডকে হারিয়েছে সেনেগাল।
আজ একতেরিনবার্গ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার লড়াইয়ে জাপান মুখোমুখি হবে সেনেগালের বিপক্ষে। একটি করে জয় পাওয়ায় দুই দলের পয়েন্ট সমান। পরের রাউন্ডে কারা যাচ্ছে, তা নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে আজকেই। আর যদি ড্র হয় তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার অপেক্ষাটা বাড়তে পারে ২৮ জুন পর্যন্ত।
বিশ্বকাপে দুই দলের এটি প্রথম সাক্ষাৎ। এর আগে প্রীতি ম্যাচে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে তারা। লড়াইয়ে দুই জয় ও এক ড্র নিয়ে এগিয়ে আছে লায়ন্স অব তেরেঙ্গারা। ২০০২ জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপে এসেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সেনেগাল। উঠে গিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। সেবার ঘরের বিশ্বকাপে জাপান দৌড় শেষ করেছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে থাকতেই। ছয়বার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করলেও সামুরাই ব্লুরা একবারও শেষ আটে উঠতে পারেনি। বিশ্বকাপে আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে প্রথম পর্বে টানা দুই ম্যাচে জয় আছে কেবল দুই দলের। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ক্যামেরুন ও ১৯৯৮ বিশ্বকাপে নাইজেরিয়া টানা দুই ম্যাচে জয় পেয়েছিল। আজ জয় পেলে সেই রেকর্ডে ভাগ বসাবে সেনেগাল।
সেনেগালের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দুঃসংবাদ শুনতে হচ্ছে জাপানকে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে উরুতে চোট পাওয়ায় দলে থাকছেন না কেইসুকে হোন্ডা। তাছাড়া ফরওয়ার্ড শিনজি ওজাজাকিকেও নিয়েও সন্দেহ আছে নিপ্পনিদের। গত ম্যাচে পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে চোটের কোনো সমস্যা নেই সেনেগাল দলে।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ নিয়ে জাপানের অধিনায়ক মাকোতো হাসেবে বলেন, ‘মাঠে আমরা অবশ্যই নিজেদের খেলাটা খেলব। গত ম্যাচে আমরা ৯০ মিনিট ১০ জনের দলের বিপক্ষে খেলেছি। তবে এবারের গল্পটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।’ জাপানকে গত ম্যাচে জয় এনে দিয়েছিলেন ইওয়া ওসাকা। তবে পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন জাপানের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় শিনজি কাগাওয়া। এবারও আকিরা নিশিনোর আস্থার নাম তিনি। স্পটলাইটটাও থাকবে তার ওপর।
অন্যদিকে সেনেগালে আছে একঝাঁক তারকা। দলের অধিনায়ক সাদিও মানে জ্বলে উঠলে যেকোনো মুহূর্তে ঘুরে যেতে পারে ম্যাচের মোড়। তবে গত ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে কোচ আলী সিসের ভরসা হয়ে উঠেছেন এভারটন মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গুইয়ে। তাছাড়া গত ম্যাচে গোল করা এমবায়ে নিয়াঙ্গের ওপরও চোখ থাকবে সবার।
ইতোমধ্যে সেনেগালের জয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছেন কোচ সিসে। সংগীতশিল্পী বব মার্লের সঙ্গে চেহারায় মিল থাকায় গত ম্যাচেই সবার নজর কেড়েছিলেন তিনি। আজ ডাগআউটে দাঁড়ানোর আগে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পোল্যান্ডের বিপক্ষে সেনেগাল জয় পেয়েছে শৃঙ্খলার কারণে। আপনি দেখেছেন সেনেগালিজরা অত্যন্ত কঠিন। খুবই বিন্যস্ত।’
"