ক্রীড়া ডেস্ক
‘সব দোষ আমার’
ম্যাচ শেষে মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ মাটির দিকে তাকিয়ে থাকলেন লিওনেল মেসি। হাভিয়ের মাশ্চেরানোর মুখে রাজ্যের হতাশা। পাওলো দিবালা, গঞ্জালো হিগুয়েনরা মাঠে বসে পড়েছেন মুখ ঢেকে। পরশু নিঝনি নভোগ্রাদ স্টেডিয়ামে এমন দৃশ্যটা বারবার ধরা পড়েছে ক্যামরায়। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করায় দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার জন্য ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না কোচ হোর্হে সাম্পাওলির বিপক্ষে। কিন্তু উল্টো পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো লা আলবিসেলেস্তেদের। ক্রোয়েটদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে খাদের কিনারে চলে গেছে আর্জেন্টিনা। শেষ ষোলোতে যাওয়াটাই এখন শঙ্কার মুখে মেসি, আগুয়েরোদের। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য তাদের এখন তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে আইসল্যান্ড ও নাইজেরিয়ার ম্যাচের দিকে। তবে এখনো আশা হারাচ্ছে না আর্জেন্টিনা। সমীকরণটা কঠিন হলেও এখনো শেষ ষোলোতে যাওয়ার পথ খোলা আছে তাদের। কিন্তু সেটা অনেক সমীকরণের ব্যাপার।
প্রথমার্ধ থেকে গোল পেতে মরিয়া আর্জেন্টিনা পরশু মাঠের সব জায়গায় হেরেছে ক্রোয়েটদের বিপক্ষে। প্রথম গোলটি তাদের হজম করতে হয়েছে গোলরক্ষকের ভুলে। এরপরে উল্টো গোল শোধ করতে গিয়ে আরো দুটি গোল হজম করেছে সাম্পাওলির দল। তবে এক পরাজয়ে অনেক কিছু ঘটে গেছে আর্জেন্টিনা শিবিরে। সাম্পাওলিকে কোচের পদ থেকে অপসারণের দাবি তুলেছেন দলের খেলোয়াড়রা। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার এই দলকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে দল বলে অভিহিত করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ওসি আরদিলেস।
তবে ম্যাচ শেষে সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন সাম্পাওলি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি একাই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এই ম্যাচ নিয়ে আমার অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ম্যাচটা আমি পড়তে পারিনি। ম্যাচটা যেভাবে বোঝা উচিত ছিল সেটা বুঝতে পারিনি আমি। দলের এমন হারে আমি অত্যন্ত ব্যথিত।’
সাম্পাওলি আরো যোগ করে বলেন, ‘এই ম্যাচে আমাদের অনেক ঘাটতি ছিল। এই দায়টা একজন না একনজনকে তো নিতেই হবে। আমি যেভাবে বলেছি ছেলেরা সেভাবেই চেষ্টা করেছেন। ওরা সফল হয়নি, দায়টা অবশ্যই আমাকে নিতে হবে। সব দোষ আমার।’ আর্জেন্টিনা হারলেও মেসির পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলাররা। রাকিটিচ বলেছেন, ‘মেসির জন্য সত্যি খুব খারাপ লাগছে।’
"