ক্রীড়া ডেস্ক
নেইমারদের অভিযোগ খারিজ ফিফার
এবারের বিশ্বকাপের নতুন সংযোজন ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারিং (ভিএআর) পদ্ধতি। রাশিয়ার আসর দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বৈশ্বিক মঞ্চে যাত্রা শুরু করেছে আধুনিক এই প্রযুক্তি। যেটার সুবিধা এবং অসুবিধা দুইটিই স্পষ্ট হয়ে উঠছে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। ভিএআরের ব্যবহার এবং রেফারিদের ভিএআর প্রয়োগে অনীহাই পার্থক্যটা সামনে নিয়ে এসেছে।
এক সপ্তাহ পেরিয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। এর মধ্যে কয়েকটি ম্যাচেই ভিএআরের সফল প্রয়োগ দেখা গেছে। কিন্তু এর ইতিবাচক দিকটির সঙ্গে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন তো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছে ফিফার কাছে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ রেফারি কেন ভিএআরের সহযোগিতা নেননি এর উত্তর জানতে চেয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পাশাপাশি সুইজারল্যান্ডের গোলটা বাতিলেরও আবেদন জানায় সেলেকাওরা। কিন্তু ব্রাজিলের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে ফিফা।
রবি রাতে রোস্টভ এরিনায় ৫০ মিনিটে ব্রাজিলের গোলমুখের সামনে মিরান্ডাকে ধাক্কা দেওয়ার পর হেডে জালে বল জড়ান সুইস ফরওয়ার্ড স্টিভেন জুবের। তখন সেলেকাওরা রিভিও চাইলেও কর্ণপাত করেননি রেফারি। কয়েক মিনিট পর ডি-বক্সে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে টেনে ফেলে দেন সুইস ফুটবলাররা। অথচ পেনাল্টি সিদ্ধান্ত দেননি ম্যাচকর্তারা। ব্রাজিলের দাবি ভিএআর পদ্ধতি ব্যবহার করলে রেফারি দুইটি ভুলই এড়াতে পারত।
কিন্তু ব্রাজিলের অভিযোগ আমলে নেয়নি ফিফা। এমনকি ম্যাচ অফিসিয়ালসদের অডিও রেকর্ড পাওয়ার অনুরোধ করলেও সেটা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। ফিফা জানায় বিশ্বকাপের গোপনীয়তা রক্ষার্থে এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
"