ক্রীড়া ডেস্ক
ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া পোল্যান্ড
সেনেগালের চোখ দ্বিতীয় রাউন্ডে
বিশ্বকাপের ‘এইচ’ গ্রুপে অন্য তিনটি দলের চেয়ে কাগজে-কলমে এগিয়ে ছিল পোল্যান্ড। কারণ ইউরোপের এই মধ্যম ফুটবল পরাশক্তির দলটিতে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেভানডভস্কির মতো বিশ্বমানের ফরওয়ার্ড। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও পোল্যান্ড ৮ নাম্বার দল। কিন্তু ম্যাচ শেষে হতাশাটাই সঙ্গী হলো পোলিশদের। পরশু স্পার্তাক স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সেনেগালের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে গেছে অ্যাডাম নাওয়ালকার শিষ্যরা।
২০০২ জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপের নিজেদের অভিষেক ম্যাচেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল সেনেগাল। সেই চমক জাগিয়ে তারা সেবার উঠে গিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। পরশু নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে ফেভারিট পোল্যান্ডকে হারিয়ে আরেকবার তাক লাগিয়ে দিল সেনেগালিজরা। ফ্রান্সকে হারানোর দিনে দলের সদস্য ছিলেন আলি সিসে। এবার সিসে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিলেন সেনেগালকে। এবারও দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল লায়নস অব থেরেঙ্গারা।
এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে আত্মঘাতী ও পেনাল্টি গোল। পরশুর ম্যাচেও তার দেখা পেল দর্শকরা। পোলিশদের ডুবিয়েছে আত্মঘাতী গোল। ৩৭ মিনিটের সময় থিয়াগো সিওনেকের ভুলে এগিয়ে যায় সেনেগাল। এরপরই গোল শোধে মরিয়ে হয়ে খেলতে থাকে নাওয়ালকার দল। কিন্তু উল্টো ৬০ মিনিটের সময় সেনেগাল ফরওয়ার্ড এমবায়ে নিয়াঙের গোলে দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়ে পোলিশরা। ৮৬ মিনিটে পোলিশদের হয়ে ব্যবধান কমানো গোল করেন ক্রিচোভিয়াক।
গ্রুপ পর্বের প্রথম বাধা টপকাতে পেরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই সেনেগাল কোচ সিসের খুশি হওয়ার হওয়ার কথা। হলেনও তাই। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের খেলাটা খেলেছি। পোল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছি। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আমাদের লড়াই এখন দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার।’
অন্যদিকে পোল্যান্ড কোচ নাওয়ালকা বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা ভালো খেলেছে। কিন্তু এমন হারে আমরা হতাশ। পরের দুই ম্যাচে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
শেষ ষোলোতে উঠার লড়াইয়ে সেনেগাল তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ২৪ জুন জাপানের বিপক্ষে। আর একই দিনে কাজান অ্যারেনায় পোল্যান্ডের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া।
"