ক্রীড়া ডেস্ক
মেসির এত ক্ষমতা!
রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই সমালোচনার ঝড় বইছে ল্যাটিন জায়ান্ট আর্জেন্টিনার ওপর। এবার আসরের শুরুতে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন আর্জেন্টাইন সাংবাদিক ফ্ল্যাবিও আজ্জারো। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এলেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তার মোড়লগিরিতেই প্রথম একাদশে ছিলেন না গঞ্জালো হিগুয়েইন। পাওলো দিবালার তো মাঠে নামার সৌভাগ্যই হয়নি। আর্জেন্টাইন সংবাদকর্মীর এভাবে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেওয়ায় নতুন বির্তকের ঝড় উঠেছে দেশটির গণমাধ্যমগুলোতে।
রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নবাগত আইসল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে জয়ে সুবর্ণ সুযোগটা হাতছাড়া করেছেন খোদ অধিনায়ক মেসি নিজেই। পেনাল্টির সুযোগটা তিনি পায়ে ঠেলেছেন। তার শট রুখে দেয় আইসল্যান্ড গোলরক্ষক। ঠিক একদিন আগেই তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আগুন ঝরিয়েছেন মাঠে। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে স্পেনের বিপক্ষে পর্তুগালের হার ঠেকিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার।
স্বাভাবিকভাবেই আইসল্যান্ড ম্যাচে মেসির ওপর প্রত্যাশার পারদটা বেড়ে হয়েছিল ঊর্ধ্বমুখী। সেই চাপেই কিনা আবার শেষ হয়ে গেলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক! আরো একবার তার ভুলের খেসারত দিতে হলো দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। দুই বছর আগে কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের ফাইনালেও স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন বার্সেলোনার মহাতারকা।
আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করা ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন না হিগুয়েইন। শেষ কয়েক মিনিটের জন্য তাকে মাঠে নামান আর্জেন্টিনা কোচ জর্জ সাম্পাওলি। কিন্তু মাঠে নেমে ওইটুকু সময়ে তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি আর্জেন্টাইন অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার। আক্রমণভাগের আরেক সারথি দিবালাকে তো মাঠেই নামাননি সাম্পাওলি। জুভেন্টাসের জার্সি গত মৌসুম দাপিয়ে বেড়ানো দিবালাকে মাঠে না দেখে রীতিমতো হতাশ হয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
কেন তারা শুরুর একাদশে খেলতে পারেননি? এই প্রশ্নর উত্তরটা এসেছে আর্জেন্টাইন সাংবাদিক ফ্লাবিওর বিস্ফোরক বক্তব্যে। তিনি দাবি করেন মেসির নির্দেশেই দিবালা-হিগুয়েইনকে রাখা হয়নি শুরুর একাদশে।
আর্জেন্টাইন কোচ সাম্পাওলির পরিকল্পনাতেও মেসি হস্তক্ষেপ করেন বলে জানান তিনি। সাংবাদিক ফ্লাবিও অভিযোগ করেন মেসির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলেই দল থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে দিবালাদের। ফ্লাবিও বলেছেন, ‘মেসি আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার চেয়েও বেশি ক্ষমতা রাখেন।’
"