ক্রীড়া ডেস্ক
তাহলে ফেভারিট কারা?
বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বড় দলগুলো নিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদ তর তর করে ওপরে উঠতে থাকে। ভক্ত-সমর্থকদের সেই প্রত্যাশা তারা মিটিয়েও থাকেন। ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। এবারের এই বিশ্বকাপে এরই মধ্যে হোঁচট খেতে শুরু করেছে বড় দলগুলো।
হোঁচট খাওয়াদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন, গেল আসরের ফাইনালিস্ট আর্জেন্টিনা ও সেমিফাইনালিস্ট ব্রাজিল। তাদের মতো বড় দলগুলোর কাছ থেকে ফুটবলপ্রেমীরা যে ধরনের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন সে রকম পারফরম্যান্স তারা উপহার দিতে পারছে না।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মাঠে নামে স্পেন। শক্তিশালী স্পেন দুইবার এগিয়ে গিয়েও ড্র করেছে পর্তুগালের সঙ্গে। আর সেটা করতে বাধ্য করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তিনি হ্যাটট্রিক করে স্পেনের কাছ থেকে ১ পয়েন্ট ছিনিয়ে নেন। ওয়ানম্যান আর্মি হয়ে স্পেনের বিপক্ষে প্রাণপণ লড়াই করেন।
তৃতীয় দিনে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল নবাগত আইসল্যান্ড। তাদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা বড় ব্যবধানে জয় পাবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল সমর্থকদের। কিন্তু সেটা আর হলো কই? আর্জেন্টিনার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে দুর্দান্ত সূচনা করেছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ড। এদিন ম্যাচের ১৯ মিনিটে সার্জিও আগুয়েরো দুর্দান্ত এক গোল করে এগিয়ে নেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু তারা বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি। ৫ মিনিট পরই জটলার মধ্যে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়িয়ে দেন আইসল্যান্ডের আলফ্রেড ফিনবোগাসন। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ২০১৪ বিশ্বকাপের রানার্স-আপ আর্জেন্টিনা।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্সও তাদের প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি। প্রযুক্তির সহায়তায় দুইটি গোল করে তারা ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে। ফ্রান্সের প্রথম গোলটি আসে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি তথা ভিএআরের সহায়তায়। যদিও এটা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। আর পরের গোলটি হয় গোললাইন প্রযুক্তির সহায়তায়। এই গোলটি আসে আত্মঘাতী খাত থেকে। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে ফ্রান্সের কাছ থেকে সমর্থকরা যেমন পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করেছিল তার খুব বেশি কাছে যেতে পারেনি ফরাসিরা।
গত রোববার মাঠে নামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল মেক্সিকো। ভালো খেলেও এই ম্যাচে জয় পায়নি চ্যাম্পিয়নরা। তারা মেক্সিকোর কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায়। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেক্সিকোর হিরভিন লাজানো দারুণ একটি গোল করে মেক্সিকোকে জয় এনে দেন। বাকি সময়ে জার্মানি প্রাণান্তকর চেষ্টা করেও এই গোলটি শোধ দিতে পারেনি। এই হারের কারণে জার্মানির পরের রাউন্ডে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছে সমর্থকরা।
গত রোববার রাতে মাঠে নামে আরেক ফেভারিট ব্রাজিল। কোটি কোটি ভক্তরা প্রত্যাশা করেছিল সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে সেলেকাওরা। কিন্তু ব্রাজিলকে জিততে দেয়নি সুইসরা। ম্যাচের ২০ মিনিটে ব্রাজিলের ফিলিপে কুতিনহো ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো এক শটে গোল করেন। বিরতির পর ৫০ মিনিটে স্টিভেন জুবের গোল করে সমতায় ফেরায় সুইজারল্যান্ড। বাকি সময়ে এই সমতা আর ভাঙতে পারেনি। ফলে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েও মাঠ ছাড়তে তিতের শিষ্যরা।
কাল রাতে মাঠে নেমেছে দুই ফেভারিট বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ড। বেলজিয়ামের প্রতিপক্ষ নবাগত পানামা আর ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ তিউনিশিয়া। এই দুই ফেভারিট দলের পারফরম্যান্স পাঠকরা হয়তো এতক্ষণে দেখে ফেলেছেন।
"