ক্রীড়া ডেস্ক
সেই সেরেনার সামনে শারাপোভা
টেনিস বিশ্বে একজনকে বলা হয় পুরুষ হৃদয় পুড়িয়ে দেওয়া আগ্নেয়গিরি। অন্যজন বরফের রাণী। কিন্তু দুইজন ভালোবাসেন এক পুরুষকে। যুদ্ধ লাগাটাই তো স্বাভাবিক। কোর্ট ও কোর্টের বাইরে সেরেনা উইলিয়ামস ও মারিয়া শারপোভার স্নায়ু যুদ্ধটা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। রোঁলা গাঁরোতে আজ ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ‘তিক্ত’ লড়াইয়ে আরেকবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই টেনিস সেনসেশন সেরেনা ও শারাপোভা।
যাকে নিয়ে কোর্টের বাইরে দুজনের এত যুদ্ধ, তার নাম গ্রিগর দিমিত্রভ। দিমিত্রভ নিজেও টেনিস তারকা। শারাপোভার এই বুলগেরিয়ান প্রেমিক একসময় প্রেম ছিল সেরেনার সাবেক। ত্রিভুজ এই প্রেম শেষ পর্যন্ত চলে এসেছিল কোর্টেও।
কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে শারাপোভার আত্মজীবনী। যেখানে ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের উইম্বলডনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে সেরেনার কান্নার ব্যাপারটা তুলে ধরা হয়েছে। ওই টুর্নামেন্টের ফাইনালে সেরেনা শিরোপা খুইয়েছিলেন শারাপোভার বিপক্ষে। হারের পর মার্কিন তারকা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন লকার রুমে।
সেরেনা যদিও বইয়ের এই ব্যাপারটি ভালোভাবে নেননি। তিনি মনে করেন, লকার রুমের ব্যাপারটিকে এভাবে প্রকাশ্যে না এনে একজন নারী হিসেবে আরেকজন নারীকে উৎসাহিত করা উচিত ছিল। শিরোপার এত কাছাকাছি গিয়ে হেরে যাওয়ায় কান্নাটা স্বাভাবিক ছিল বলেই মনে করেন এই মার্কিন তারকা। বইটিকে সেরেনা ‘১০০ ভাগ উড়ো খবর’ বলেও অভিহিত করেন।
গত বছর সন্তান জন্ম দিয়েছেন সেরেনা। এরপর থেকে টেনিসে অনিয়মিত এই মার্কিন তারকা। দীর্ঘদিন পর ফ্রেঞ্চ ওপেনে এসে জুলিয়া জর্জেসকে হারিয়ে নিশ্চিত করেছেন চতুর্থ রাউন্ড। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ডোপিংয়ের কারণে কোর্টের বাইরে ছিলেন শারাপোভা। গত বছর ওয়াইল্ড কার্ড না পাওয়ায় খেলতে পারেননি তিনি। চতুর্থ রাউন্ডে আসার আগে তিনি হারিয়েছেন ক্যারোলিনাকে।
সেরেনা-শারাপোভা সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিলেন ২০১৬ আমেরিকান ওপেনে। এই পর্যন্ত দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কোর্টে দেখা হয়েছে মোট ২১ বার। লড়াইয়ে অবশ্য একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন সেরেনা। ৩১ বছর বয়সী রাশান তারকার বিপক্ষে শেষ ১৮ বারের লড়াইয়ে প্রতিবারই জিতেছেন ২৩টি গ্র্যান্ডসøামজয়ী উইলিয়ামস। রোঁলা গাঁরোতে আরেকবার আধিপত্য ধরে রাখার মিশনে নামবেন তিনি। অন্যদিকে ২০০৪ সাল থেকে সেরেনার বিপক্ষে জয় বঞ্চিত থাকা শারাপোভাও প্রস্তুত প্রতিশোধ নিতে।
"