ক্রীড়া ডেস্ক
লড়াইটা দুই কোচেরও
কিয়েভে আজ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে লড়বে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। লড়াইটা কেবল মাঠেই হবে না। দুই দলের ডাগআউটেও দেখা যাবে যুদ্ধংদেহীভাব ও মস্তিষ্কের লড়াই। রিয়ালের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে সার্জিও রামোস, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের নির্দেশনা দিবেন কোচ জিনেদিন জিদান। অন্যপাশে মোহাম্মদ সালাহ, রবার্তো ফিরমিনোদের গতিপথ নির্ণয় করে দিবেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
তবে দুই দলের কোচের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন জিদান। খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালের জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা অর্জন করেছিলেন জিজু। কোচিংয়েও সেই সফলতা ধরে রেখেছেন তিনি। তার অধীনে গত দুই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। এবারের ফাইনালটা জিততে পারলে শিরোপা জেতার হ্যাটট্রিক করবে রিয়াল ও জিদান। এর আগে কোনো কোচ টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিততে পারেননি। কোচ হিসেবে একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন জিজু।
ফাইনালে জিদান তার দলকে খেলাবেন ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। গত মৌসুমে কার্ডিফের ফাইনালেও জুভেন্টাসের বিপক্ষে রিয়ালকে একই ফর্মেশনে খেলিয়েছেন তিনি। আর তাতে জয়টাও পেয়েছিলেন জিজু। ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কিয়েভের ফাইনালের জন্য আমরা প্রস্তুত। এটি আমাদের জন্য এই অন্যতম বিশেষ ম্যাচ। আমাদের সামনে এখন শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। প্রতিটি ম্যাচেই আমরা জয়ের জন্য নামি।’
কিয়েভের ফাইনালে আগে ক্লপের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের অভিজ্ঞতা আছে একবার। ২০১৩ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। তবে সেই ফাইনালে রানার্সআপ হয়েই ফিরতে হয়েছিল ক্লপকে। হারের আক্ষেপটা এবার ঘুচানোর পালা ক্লপের। অলরেডদেরকে তিনি খেলাবেন ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। আক্রমণভাগে সালাহ, ফিরমিনো, মানে ইতোমধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে ২৯ গোল করে কোচের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন। এবারও শিরোপা জিততে এই ত্রয়ীর দিকেই তাকিয়ে থাকবেন তিনি।
ম্যাচের আগে রিয়ালকেই ফেভারিট হিসেবে মানছেন ক্লপ। ৫০ বছর বয়েসী কোচ বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ উঁচু মানের দল। যারা টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লড়বে। তবে আমরা লিভারপুল।’ দেখার বিষয়, জিদান টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ পারেন কি না, নাকি ক্লপের প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার স্বাদ নিতে পারেন।
"