ক্রীড়া প্রতিবেদক
তাসকিনের দুঃসময়
অনেকদিন ধরেই ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছেন তাসকিন আহমেদ। এর সঙ্গে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ফিটনেস অনুশীলন করছেন ডানহাতি এই পেসার। কিন্তু পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তাই ঝুঁকি নিতে চাননি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকরা। নির্বাচক প্যানেল তাসকিনকে রাখেননি আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজের স্কোয়াডে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও তিনি ফিরতে পারবেন কিনা সংশয় রয়েছে তা নিয়েও। কারণ তাসকিনের ফিটনেসে যথেষ্ঠ ঘাটতি রয়েছে। পিঠের এমনই চোটে ভুগছেন তিনি যে, সেটার সমাধানের জন্য বেগে পেতে হচ্ছে বিসিবি চিকিৎসকদেরও!
এই চোটের গভীরতা কতটুকু সেটা পরশু সামাজিক যোগাযোগমাধ্য ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ভক্তদের জানিয়েছেন তাসকিন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পিঠে এতটা ব্যথা যে বিছানা থেকেও নামতে পারছি না।’ ২৩ বছর বয়সী তাসকিন প্রসঙ্গে কাল বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘তাসকিনের পিঠের চোটটা ডিস্ক সম্পর্কিত। বড় সমস্যা হচ্ছে এটা নিয়ে কিছু অনুমান করা যায় না। আজ ভালো তো কাল বা পরশু কী হবে আমরা অনুমান করতে পারি না। দেখা যাচ্ছে দু-তিন দিন ভালো অনুশীলন করেছে, তৃতীয় বা চতুর্থ দিনে ব্যথা বেড়ে গেছে। ওর যেটা হয়েছে, দু-তিন দিন খুব ভালো অনুশীলন করেছে, বোলিং করেছে। বাসায় গিয়ে আবার ব্যথা বেড়ে গেছে। ডিস্কের সমস্যা এমনই। ভালো-খারাপের মধ্য দিয়ে যায়। এ ধরনের চোটে পড়া খেলোয়াড়কে নিয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিকল্পনা করতে অসুবিধা হয়ে যায়। সব ভালো, রিহ্যাব করছে। হঠাৎ দেখা গেল ম্যাচের আগে ওর ব্যথা বেড়ে গেছে। সব চেষ্টাই বৃথা। তাকে নিয়ে কোচের দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করা কঠিন।’
দু-এক দিনের মধ্যে তাসকিনকে ইনজেকশন দেওয়ার কথা ভাবছে বিসিবি। এতে দীর্ঘ মেয়াদে কোনো সমাধান হবে কি না, দেবাশীষ যদিও নিশ্চিত নন, ‘এটা সাময়িক ব্যথামুক্ত করলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য হয়তো নয়। সাময়িক ব্যথামুক্ত হলে সে অবশ্য খেলতে পারবে। এটার স্থায়ী সমাধান অস্ত্রোপচার। আগেই বলেছি, তাসকিনের চোটটা অস্ত্রোপচারের পর্যায়ে যাইনি। মাঝামাঝি অবস্থায় ঝুলছি আমরা। অনেক পেস বোলারের এই চোট থাকে। ব্যথা কমে, আবার বাড়ে। খুবই কম খেলোয়াড়ের অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার করেও যে শতভাগ সমাধান হয়, সেটির নিশ্চয়তাও নেই। যেমন রাজুর (আবুল হাসান) অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। ইনজেকশনেও ব্যথা কমেনি। তাসকিনের ক্ষেত্রে সরাসরি অস্ত্রোপচারে যেতে পারব না। আগে ইনজেকশন দিতে হবে। এভাবে এগোবে। মাঠে ফিরলেও আপাতত তাকে টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডের মধ্যে রাখতে হবে। বড় পরিসরের ক্রিকেটে তাকে খেলানো যাবে না, এতে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে।’
"