ক্রীড়া প্রতিবেদক
অভিজ্ঞতার কারণে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন সাব্বির
একটা পর্যায়ে বিতর্কের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছিলেন সাব্বির রহমান। ঘিরে ধরা বিতর্ক থেকেও ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন এই অলরাউন্ডার। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে খুব শিগগিরই মাঠে ফিরছেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যাবে তাকে। আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজ দিয়েই নতুন শুরু হবে সাব্বিরের। এ যাত্রাটা দারুণ চান এই টাইগার অলরাউন্ডার।
নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে শেষ ম্যাচটি খেলেছেন সাব্বির। যেখান থেকে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই আবার শুরু করতে চান তিনি। কাল অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমকে সাব্বির বলেছেন, ‘এটা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটা যেভাবে খেলেছি, আগের ম্যাচগুলোয় নিজেকে ওইভাবে চেনাতে পারিনি। ফাইনালে যেভাবে চেয়েছি সেভাবে চেনাতে পেরেছি। সামনে এটা আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’
শুধু বিতর্কের কারণে নয়, পারফরম্যান্সের কারণেও পেছনের কয়েকটা মাস ভালো কাটেনি সাব্বিরের। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে অবশ্য দুঃসময়কে কিছুটা জবাব দিতে পেরেছিলেন তিনি। ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে একাদশে তার জায়গা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সাব্বির মনে করেন রান করলেই এ সবকিছুর সমাধান সম্ভব। তিনি বলেছেন, ‘আত্মবিশ্বাস বড় জিনিস। রান করলে সব টেকনিক ঠিক থাকে। কোনো দোষই তখন আর দোষ থাকে না! সব কাজই ঠিক থাকে। রান না করলে ভালো শট খেলে আউট হলেও তখন প্রশ্ন ওঠে, টেকনিক খারাপ! হ্যাঁ, টেকনিকে সমস্যা থাকতে পারে, টেম্পারামেন্ট সমস্যা থাকতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, রান করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
ভারতের দেরাদুনে আগামী মাসে আফগানিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। সিরিজের ফরমেটটা কুড়ি ওভারের ম্যাচ বলেই আফগানদের এগিয়ে রাখা হচ্ছে। তাছাড়া কারণ আফগানিস্তানের বোলিং ইউনিট বেশ শক্তিশালী। তাই বলে নিজেদের পিছিয়ে রাখতে নারাজ সাব্বির। অভিজ্ঞতার কারণে এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার এগিয়ে রাখছেন নিজেদেরই। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই অভিজ্ঞতায় আমরা এগিয়ে থাকব। আফগানিস্তানের হয়তো তিন-চারজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। আমাদের অনেক ভালো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, যারা আইপিএলেও খেলে। আশা করছি, অভিজ্ঞতা দিয়ে ম্যাচ জিততে পারব।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেললেও সাব্বির ব্যক্তিগত উদ্যোগেই নিজের ভুলত্রুটিগুলো নিয়ে কাজ করেছেন গত দুই মাস। আফগানিস্তান সিরিজে তার লক্ষ্য একটাই, যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছেন সেগুলো মাঠে করে দেখাতে। রশিদ খান-মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যে এত কথা হচ্ছে, তাদের খেলতে কী করণীয় সেটিও অজানা নয় সাব্বিরের। তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি ১২০ বলের খেলা। প্রথম কয়েক ওভারে একরকম পরিস্থিতি যাবে। শেষ ছয় ওভার আরেক রকম। ইনিংসের মাঝে থাকে আরেক পরিস্থিতি। আমরা যারা মাঝের ওভারগুলো খেলব বল-টু-বল যদি রান করতে পারি, অন্তত ৪২ বলে যদি ৬০-৭০ রান করতে পারি, তাহলে হয়তো আমাদের স্কোর ভালো হবে। উইকেট ছুড়ে না দিয়ে এসে বল অনুযায়ী খেললে বড় স্কোর করতে পারব।’
"