ক্রীড়া ডেস্ক
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
২০১৪ বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। একদিকে ঘরের মাঠ আর অন্যদিকে দলে নেইমারের মতো তারকা খেলোয়াড়। পরে ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হয়ে পড়া সেলসাওদের জন্য তা-ই হয়ে উঠল গলার কাঁটা। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে কোমরের ইনজুরির কারণে নেইমার ছিটকে যাওয়ার পর নখদন্তহীন ব্রাজিলের চেহারাটা বেরিয়ে পড়ে ঘরের মাঠে। সেমিফাইনালের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের ১-৭ গোলের লজ্জায় ডুবায় অক্ষশক্তি জার্মানি।
চার বছর ঘুরে আবার দরজায় কড়া নাড়ছে ২১তম বিশ্বকাপ। আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট হিসেবে খেলতে যাবে ব্রাজিল। বিশ্বকাপের শিরোপা উদ্ধারের লক্ষ্যে গতকাল কোচ টিটে ঘোষণা করেছেন তারকাবহুল ২৩ সদস্যের ব্রাজিল বাহিনী। কোচ নিজেই মানছেন, এবারের দলটি গতবারের চেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ বলে। চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা খেলোয়াড়দেরই দলে রেখেছেন টিটে। তার দলটি ইতোমধ্যে ঈর্ষা জাগিয়েছে।
বিশ্বকাপের আগে পায়ের ইনজুরিতে পড়লেও কোচ নেইমারকে দলে রেখেছেন। তবে সুস্থ হয়ে নেইমার কবে দলে যোগ দেবে তা এখনো অনিশ্চিত। ব্রাজিল সমর্থকরা আশা করছেন, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন এই পিএসজি তারকা। জাতীয় দলের জার্সিতে ৫৩ গোল করা দলের প্রাণভোমরা যদি মাঠে নামতে না পারেন, তাতেও ভয় নেই সেলসাওদের। কারণ গতবার বিধ্বস্ত হওয়ার পর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ব্রাজিলকে আমূল পরিবর্তন করেছেন টিটে।
গতবার নেইমারনির্ভর ব্রাজিলের কথা সবার জানা। এবার নেইমার মাঠে খেলবে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে। আর তাকে মাঝমাঠ থেকে বলের যোগান দেওয়ার জন্য কুতিনহো, পাওলিনহো, উইলিয়ানরাতো আছেনই।
ব্রাজিলের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে দানি আলভেসের ছিটকে যাওয়া। আলভেসের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। পায়ের ইনজুরির কারণে নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপটা টিভিতে বসে দেখতে হবে পিএসজি তারকাকে। নিজের শেষ বিশ্বকাপে আর ব্রাজিলের জার্সি গায়ে জড়ানো হলো না ৩৬ বছর বয়েসী আলভেসের। তার জায়গায় ডাক পেয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার ডানিলো।
ব্রাজিল তাদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ অর্জনের জন্য সব অস্ত্রই হাতে রেখেছে। নতুন ও অভিজ্ঞদের সঙ্গে সেতুবন্ধন ঘটিয়েছেন টিটে। অভিজ্ঞ লুইস, সিলভা, মিরান্দাদের সঙ্গে রক্ষণভাগ সামাল দেবে পেদ্রো ও ডানিলোরা। অন্যদিকে পাসিং ও প্লেসিং ফুটবল খেলা ব্রাজিলের মূল দায়িত্বটা থাকবে মধ্যমাঠে। কুতিনহো, কাসেমিরো, পাওলিনহোদের ভিড়ে বেঞ্চে বসে খেলা দেখতে হতে পারে কস্তা, ফ্রেডের মতো খেলোয়াড়দের।
এছাড়া ব্রাজিলের প্রহরী হিসেবে থাকবেন দলের এক নাম্বার গোলরক্ষক অ্যালিসন। রোমার এই গোলরক্ষককে ইতোমধ্যে ‘গোলপোস্টের মেসি’ নামেও ডাকা হয়। টিটের দল তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ১৭ জুন। ‘ই’ গ্রুপে তাদের অন্য তিন সঙ্গী হচ্ছে- সুইজারল্যান্ড, কোস্টারিকা ও সার্বিয়া।
ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের দল
গোলরক্ষক : অ্যালিসন, এডারসন, ক্যাসিও, ডিফেন্ডার : ডানিলো, ফেগনের, মার্সেলো, ফিলিপে লুইস, থিয়াগো সিলভা, মারকিনেহোস, মিরান্দা, পেদ্রো গেরোমেল, মিডফিল্ডার : কাসেমিরো, ফার্নান্দিনহো, পাওলিনহো, ফ্রেড, রেনেতো অগাস্তো, ফিলিপ্পে কুতিনহো, উইলিয়ান, ডগলাস কস্তা , ফরওয়ার্ড : নেইমার, টাইসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রবার্তো ফিরমিনো।
"