ক্রীড়া ডেস্ক
ইউনাইটেডকে রুখে দিল ব্রাইটন
ব্রাইটন ১ : ০ ইউনাইটেড
চলতি মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত মাসে পয়েন্ট টেবিলের কুড়ি নম্বর দল ওয়েস্টব্রমের বিপক্ষে ধাক্কা খেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এবার ধাক্কা খেলো লিগের ১১ নম্বর দল ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ আলবিয়নের বিপক্ষে। ব্রাইটনের ঘরের মাঠে হোসে মরিনহোর শিষ্যরা হেরেছে ০-১ গোলে। এর আগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম দেখায় রেড ডেভিলরা জয় পেয়েছিল একই ব্যবধানে।
পরশু প্রথামার্ধ থেকেই ইউনাইটেডকে মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে স্বাগতিকরা। কিন্তু বারবার ব্রাইটন খেলোয়াড়দের হতাশ হতে হয়েছে ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার কাছে। অন্যদিকে ম্যাচে রেড ডেভিলরা ছিল সম্পূর্ণ খোলসবন্দি থাকলেও কয়েকটি জোরালো আক্রমণও করে তারা।
প্রথমার্ধে গোলশূন্য স্কোর নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে এসে আরো বেশি আক্রমণ শানাতে থাকে ব্রাইটন। সুবিধাটাও তারা পেয়ে যায় দ্রুত। ৫৭ মিনিটে ব্রাইটনকে এগিয়ে দেওয়া গোল এনে দেন পাস্কেল গ্রোভ। বাম পাশ থেকে পাওয়া উড়ে আসা বলে দারুণভাবে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। গ্রোভের গোলটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো। কিন্তু তার আগেই গোল লাইন পার হয়ে যায় বলটি। ম্যাচের বাকি সময়টুকুতে ম্যাচে সমতা ফেরাতে চেষ্টা করলেও হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মরিনহোর দলকে।
পরশু গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও বল দখল থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট নেওয়ায় এগিয়ে ছিল ইউনাইটেড। তবে তা তারা দেখিয়ে গোল হজমের পর। রেড ডেভিলদের পায়ে বল ছিল ৬৯ শতাংশ। গোলমুখে ব্রাইটনের ১১ শটের বিপরীতে ইউনাইটেড শট নিয়েছে ১৬টি। ব্রাইটনের বিপক্ষে পরশু ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারেননি বেলজিয়ান ফরওয়ার্ড রোমেলু লুকাকো ও জানুয়ারিতে দলে আসা আলেক্সিস সানচেজ। চেলসির বিপক্ষে এফএ কাপ ফাইনালেই এই দুই তারকা খেলোয়াড় নিশ্চিত পাবেন বলে আশাবাদী, কোচ মরিনহো। তবে ম্যাচ শেষে দলের হারে ক্ষোভটাও ঝেড়েছেন এই অভিজ্ঞ কোচ। ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ে লিগে ব্রাইটনের অবনমন শঙ্কাটা কেটে গেছে। ৩৬ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের ১১ নম্বর স্থানে। অন্যদিকে ইউনাইটেড হারলেও দ্বিতীয় স্থানটা ধরে রেখেছে।
"