ক্রীড়া ডেস্ক
লাল কার্ড প্রাপ্য ছিল না, বললেন জিদান
জিয়ানলুইজি বুফন ইতালির হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। জুভেন্টাসের হয়ে জিতেছেন সিরিআ’ লিগ তাও ১০ বার। ফুটবল ইতিহাসে সেরা গোলরক্ষকদের তালিকায় তার নামটা থাকবেই। কিন্তু কিংবদন্তি আক্ষেপ থাকবে চ্যাম্পিয়নস না জেতার।
পরশু ঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হেরেছিল জুভেন্টাস। ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ভেবেই ৪০ বছর বয়সী বুফন ফিরতি লেগের আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়নস লিগে এটাই সম্ভবত আমার শেষ ম্যাচ। কিন্তু সতীর্থদের মরিয়া চেষ্টায় জুভেন্টাস ফিরতি লেগে ৩ গোল শোধ করে লড়াইটা জমিয়ে তুলেছিল। এমন মুহূর্তে পেনাল্টির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় রেফারি লাল কার্ড দেখালেন বুফনকে! রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়া এই গোলরক্ষককে মাঠ ছাড়তে দেখে অনেকেরই হয়তো খারাপ লেগেছে। বুফন মাঠ ছাড়ার সময় বার্নাব্যুর দর্শকরা তো উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান দেখালেন তাকে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্যারিয়ারে এটাই তার শেষ ম্যাচ কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে সত্যি সত্যিই শেষ ম্যাচ হয়ে থাকলে বুফনের এমন বিদায় কে চেয়েছে!
বুফনের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিনেদিন জিদানও তার এমন বিদায় চাননি। ২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে বুফনের ইতালির প্রতিপক্ষ ছিলেন জিদানের ফ্রান্স। সেই ম্যাচে ইতালির ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জিকে ঢুস মেরে লাল কার্ড দেখেই ইতি হয়েছিল জিদানের খেলোয়াড়ি জীবনের।
আর দশজন বুফন-ভক্তের মতো রিয়াল কোচের বিশ্বাস, ইতালির অন্যতম সেরা এ গোলরক্ষককে চ্যাম্পিয়নস লিগে আবারো দেখা যাবে। তবে লাল কার্ড দেখে বুফনের মাঠ ছাড়া জিদান মেনে নিতে পারেননি, ‘আমি মনে করি না এভাবে বেরিয়ে যাওয়াটা তার প্রাপ্য ছিল। কিন্তু ব্যাপারটা তো আর শোধরানো যাবে না। ম্যাচের শেষে যা ঘটেছে, তা খেলাটির প্রতি বুফনের অবদানকে কোনোভাবেই বদলে দেবে না কিংবা কেড়ে নেবে না।’
"