ক্রীড়া ডেস্ক
অ্যাটলেটিকোকে বিদায় জানালেন তোরেস
মাত্র ১১ বছর বয়সে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ট্রায়ালে সুযোগ পেয়েছিলেন। এমনি এমনিই পাননি। রায়োর হয়ে এক মৌসুমেই ৫০ গোল করেছিলেন তিনি। সেই ট্রায়ালে সবার চেয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে সুযোগ করে নিলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। শৈশবের সেই ক্লাবকে অবশেষে বিদায় জানালেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের স্প্যানিশ তারকা ফার্নান্দো তোরেস। পরশু এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদায়ের ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তোরেস বলেন, ‘অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে এটিই আমার শেষ মৌসুম। এটা খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না; কিন্তু বাস্তবতা এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটিই সেরা সিদ্ধান্ত।’ আবেগতাড়িত হয়ে ১৯ বছর বয়সেই অ্যাটলেটিকোর অধিনায়কের আর্মব্যান্ড হাতে দেওয়া তোরেস বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো দলকে বিদায় জানানো খুব কষ্টের। কারণ আমি চেয়েছিলাম, এখানে খেলেই অবসর নিতে কিন্তু সবকিছু আপনার পক্ষে হয় না সব সময়ে। আমি এখনো শারীরিক এবং মানসিকভাবে খেলার জন্য প্রস্তুত। হয়তো অন্য কোথাও আরো বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব।’
৩৪ বছর বয়সী তোরেস বর্তমান মৌসুমে লাল-সাদা মাদ্রিদের হয়ে মাত্র ৩টি ম্যাচে প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া ১৭টি ম্যাচে তিনি বেঞ্চ থেকে বদলি হিসেবে খেলেন। মৌসুমে লিগে মাত্র ২টি গোল করেছেন। এইবারের বিপক্ষে অ্যাটলেটিকোর ঘরের মাঠের শেষ ম্যাচে তোরেসকে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের সঙ্গে শেষ বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ক্লাব কর্তৃপক্ষ। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৫ সাল থেকে খেলার আগে ২০০১-০৭ সাল পর্যন্ত প্রথম ৭ বছরে অ্যাটলেটিকোতে নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় পার করেছিলেন। সেখান থেকে লিভারপুলে যোগ দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা পার করেন। কোনো ট্রফি জিততে না পারলেও সে সময়টায় গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। সেখান থেকে চেলসিতে গেলে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখা শুরু করেন তোরেস। তখন থেকে নিজের পারফরম্যান্সের অবনতিতে খেই হারিয়ে ফেলেন তোরেস। ক্যারিয়ার সবচেয়ে বড় সাফল্য পেয়েছেন স্পেনের জার্সি গায়ে। দুটি ইউরো কাপ জেতার পাশাপাশি জিতেছেন বিশ্বকাপও। বিশেষ করে, ২০০৮ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তার একমাত্র গোলেই জার্মানিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। স্প্যানিশ জয়যাত্রা তো শুরু হয়েছিল সেখান থেকেই।
"