ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাদমান-তুষারের সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন সাইফ
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সাদমান ইসলাম এবং তুষার ইমরান। কাল মধ্যাঞ্চলের হয়ে সাদমান এবং দক্ষিণাঞ্চলের জার্সিতে শতকের দেখা পেয়েছেন এ যুগল। সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সাইফ হাসানও। কিন্তু চতুর্থ সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ফিরে এলেন মধ্যাঞ্চল ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ৯৪ রান করেছেন সাইফ।
কাল বগুড়াতে দুই ওপেনারের সৌজন্যে দিনটা ভালো কেটেছে দক্ষিণাঞ্চলের। বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম দিনে মঙ্গলবার বগুড়ায় উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৪৯ রান করেছে দক্ষিণাঞ্চল। ২৩৯ বলে ১০৭ রান করে আউট হয়েছেন বাঁ-হাতি সাদমান। ডানহাতি সাইফ ৯৪ করেছেন ২৪৩ বলে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণাঞ্চলকে দারুণ শুরু এনে দেন এই দুজন। ঠা-া মাথায় এগিয়ে নেন দলকে। লাঞ্চের আগে ৩১ ওভারে দুজন তোলেন ৭১ রান। চা বিরতির সময় দলের রান ছিল ৬১ ওভারে বিনা উইকেটে ১৬০। শেষ সেশনের প্রথম ঘণ্টায়ও ফাটল ধরানো যায়নি দ্ইু তরুণ ওপেনারের জুটিতে। ততক্ষণে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন সাদমান। ২৯০ মিনিটে ২২৭ বল খেলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। ঠিক ২০০ রানে ভাঙে দুজনের জুটি। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নজর কাড়া বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ফিরিয়ে দেন সাদমানকে। প্রথম সাফল্যের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা থাকলেও পরেরটি উত্তরাঞ্চল পেয়ে যায় দ্রুতই। অভিজ্ঞ রকিবুল হাসানকে শূন্য রানেই ফেরান সানজামুল ইসলাম। দ্বিতীয় নতুন বলে মেলে আরেকটি সাফল্য। সাইফকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন সেই শরিফুলই। পরের সময়টুকুতে অবশ্য আবার জুটি গড়ে তুলেছেন মার্শাল আইয়ুব ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৪২ রানের জুটিতে শেষ হয়েছে দিন। ২০ বলে ২১ রানে অপরাজিত দক্ষিণাঞ্চল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সেঞ্চুরি দেখে দিনের অন্য ম্যাচটাও। কিন্তু তুষারের শতকের পরও তার দল দক্ষিণাঞ্চলকে চাপে রেখেছে পূর্বাঞ্চল। কাল প্রথম দিনের খেলা শেষে দক্ষিণাঞ্চলের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯৯ রান। ক্রিজে অধিনায়ক নুরুল হাসানের সঙ্গী দেলোয়ার হোসেন। দুজনই ব্যাট করছেন ৪ রানে।
বিসিএলের প্রথম তিন রাউন্ডে দুটি সেঞ্চুরি করেন তুষার। তার চারটি ইনিংস এমন ১০৫, ৫৬, ১৬*, ১৪৮। আড়াই মাসের বিরতিতে যেন একটুও ছন্দপতন হয়নি। টানা দ্বিতীয় ও টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তুষার। ২২১ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় করলেন ১৩০ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণাঞ্চলের। তৃতীয় ওভারে আবু জায়েদকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেই ওভারে রান আউট হয়ে ফিরে যান এনামুল হক। আরেক ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস ফিরেন থিতু হয়ে। ৪৪ রানে দুই ওপেনারকে হারানো দক্ষিণাঞ্চল প্রতিরোধ গড়ে তুষার ও ফজলে মাহমুদের ব্যাটে। তৃতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ১৬৫ রানের চমৎকার জুটি। দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিরোধ ভাঙেন অফ স্পিনার সোহাগ গাজী। তার বলে লিটন দাসের গ্লাভস বন্দি হয়ে ফিরেন মাহমুদ। ১৬১ বলে খেলা তার ৮৯ রানের ইনিংসটি গড়া ১১ চার ও ১ ছক্কায়। মিডল অর্ডারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সৌম্য সরকার। পেসার খালেদ আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। ৭৭ বলে ৫০ ছোঁয়া তুষার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ২৭তম সেঞ্চুরিতে যান ১৯০ বলে। তিন অঙ্কে যাওয়ার পর শট খেলতে শুরু করেন তুষার। তাকে বিদায় করে পূর্বাঞ্চলকে ম্যাচে ফেরান আবু জায়েদ। তিন বলের মধ্যে মোহাম্মদ মিঠুন ও নাঈম হাসানের উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। দিনের বাকি সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দেন নুরুল-দেলোয়ার। পূর্বাঞ্চলের পক্ষে দুটি করে শিকার করেন খালেদ ও সাইফ।
"