ক্রীড়া ডেস্ক
শুরুতেই আফগানিস্তানের শিকার ওয়েস্ট ইন্ডিজ
আফগানিস্তানের জন্য সুপার সিক্স ছিল প্রায় অসম্ভব। গ্রুপপর্বে প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে আফগানদের বিশ^কাপ ধূসর হয়ে গিয়েছিল। অলৌকিক এক সমীকরণ মেলার পর রশিদ-নবিরা উঠে এসেছিলেন সুপার সিক্সে। ভাগ্য সহায় ছিল। শেষ ম্যাচে নেপাল জিতে যাওয়ায় রানরেটের হিসেবে সুপার সিক্সের দরজা খুলে যায় রশিদ খান, মোহাম্মদ নবিদের জন্য।
সুপার সিক্স শুরু হতেই দেখা গেল অন্য এক আফগানিস্তানকে। কাল তারা হারিয়ে দিয়েছে দুইবারের বিশ্বসেরা ফেবারিট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ১৪ বল বাকি থাকতে ক্যারিবীয়রা ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় তারা। এই জয়ে ফাইনালে ওঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল আফগানরা।
কাল হারারাতে আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৮ উইকেটে ১৯৭ রান তুলতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উইন্ডিজকে প্রথম ধাক্কাটা দেন আফগান বোলার মুজিব জাদ্রান। দলের ১২ রানের মধ্যে ক্রিস গেইলকে হারিয়ে চাপে পড়ে ইন্ডিজরা। ৯ বলে ক্রিস গেইল করতে পেরেছে ১ রান। এরপর এভিন ল্ইুস (২৭), মারলন স্যামুয়েলস (৩৬), সাই হোপ (৪৩) ও জেসন হোল্ডারের (২৮) ছোটখাটো ইনিংসের সুবাদে লড়াইয়ে পুঁজি দাঁড় করায় ক্যারিবীয়রা। তাদের কম রানে বেঁধে রাখতে সবচেয়ে কার্যকরি বোলিং করেছেন মুজিব। তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। এরপর দলের বিপর্যয় সামাল দেন রহমত শাহ। ১০৯ বলে খেলেছেন ৬৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে শাহকে সঙ্গ দিয়েছেন মোহম্মদ নবি (৩১) ও নাজিবুল্লাহ জাদ্রার (১৯)। তাদের বিদায়ের পর অধিনায়ক রশিদ খানের ১৩ রানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছেন জেসন হোল্ডার।
"