ক্রীড়া ডেস্ক
তবু ইতিবাচক মরিনহো
জিতলে সবার, হারলে যেকোনো একজনকে দায় নিতে হয়। কথাটি ক্রীড়াঙ্গনে অপ্রিয় সত্য। অনেকবার এরূপ ঘটনা ঘটেছে ক্রীড়াবিশ্বে। ব্যর্থতায় দায় বর্তায় কোচের ঘাড়ে। এভাবে বলির পাঁঠা হয়েছে বিশ্বের অনেক নামিদামি কোচ। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ হোসে মরিনহোকে অবশ্য এখনো সরে যেতে হচ্ছে না। তবে সেভিয়ার বিপক্ষে নেতিবাচক ফুটবল খেলে হারের পর সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে পর্তুগিজ কোচের ওপর।
পরশু ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সেভিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট পর্ব থেকে ছিটকে পড়ে ইউনাইটেড। কিন্তু ম্যাচ হারলেও অনুতপ্ত নন রেড ডেভিলস কোচ। জয়ের জন্য সবটুকু নিংড়ে দিয়েছেন বলে দাবি জানান মৌ। বলেছেন, ‘আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। খেলোয়াড়রা সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা ম্যাচটা জিততে পারিনি।’
সেভিয়ার কাছে হার এবং ক্লাবের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়টাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসির প্রাক্তন কোচ। মরিনহো বলেছেন, ‘ক্লাবের জন্য লিগ থেকে বিদায় নেওয়া এটা নতুন কিছু নয়। এটা হতেই পারে।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘এই হারে একদিনের বেশি মন খারাপ করার কিছুই দেখছি না। এটা ফুটবল, এখানেই শেষ নয়।’
হঠাৎ করেই পুরনো রক্ষণশীল নীতিতে ফিরেছেন স্পেশাল ওয়ান। যেটার মাশুল ইউনাইটেডকে দিতে হয়েছে ইউরোপের মঞ্চ থেকে ছিটকে পড়ে। তার মতো বিশ্বমানের কোচের কাছ থেকে নেতিবাচক ফুটবল দেখায় রীতিমতো হতাশ ক্লাবের ভক্তরা। রেড ডেভিলসদের সাবেক তারকা পল স্কোলস তো বলেই দিলেন, ‘দলের মধ্যে কোনো প্রাণ দেখছি না। গতি, তেজ কিছুই নেই। তবে দলে ভালো খেলোয়াড় আছে, ভালো খেলছে। কিন্তু রক্ষণাত্মক কেন? তারা আক্রমাণত্মক ফুটবল খেলবে।’
"