ক্রীড়া ডেস্ক
জয় ছাপিয়ে কেনের ইনজুরি
দল পেয়েছে ৪-১ গোলের বড় জয়। খুশি হওয়ারই তো কথা ছিল টটেনহাম কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো ও সমর্থকদের। কিন্তু খুশির চেয়ে দুশ্চিন্তা-ই বেশি ঘিরে ধরেছে তাদের। ব্রিটিশ মিডিয়াগুলোর আশঙ্কা যদি সত্যি হয় তাহলে এই মৌসুমে প্রাণভোমরা হ্যারি কেনকে আর পাচ্ছে না টটেনহাম।
তবে স্পার্সদের চেয়েও উদ্বেগ বেশি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের। সামনেই যে বিশ্বকাপ। ইংলিশ স্ট্রাইকারের বিশ্বকাপ স্বপ্ন নিয়ে দেখা দিচ্ছে সংশয়। পরশু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমুথের বিপক্ষের ম্যাচে গোড়ালির ইনজুরি নিয়ে আধঘণ্টার মধ্যে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান হ্যারি কেন। কিছুদিন আগে জুভেন্টাসের সঙ্গে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে গেছে টটেনহাম হটস্পার। জয়ের ধারায় ফিরতে পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছিল স্পার্সরা। পচেত্তিনোর শিষ্যরাও ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বোর্নমুথকে। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে একধাপ ওপরে উঠে এসেছে টটেনহাম। সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে লিভারপুলকে তারা ঠেলে দিয়েছে চতুর্থ স্থানে। ৩০ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে স্পার্সরা এখন তৃতীয় স্থানে। লক্ষ্য এখন ম্যানইউকে টপকানোর।
পরশু ঘরের মাঠে টটেনহামকে হারিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বোর্নমুথ। ম্যাচের সাত মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেয় জুনিয়র স্টানিসলাস। কিন্তু টটেনহামের মুহুর্মুহু আক্রমণে লিড ধরে রাখতে পারেনি এডি হাউয়ের শিষ্যরা। ৩৫ মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেলে আলির গোলে সমতা ফেরায় টটেনহাম। এরপর আর খেলায় ফিরতে পারেনি পয়েন্ট টেবিলের ১২ নম্বরে থাকা দলটি। পরে কোরিয়ান উইঙ্গার সন হিয়্যুং মিনের ৬২ ও ৮৭ মিনিটের গোলে বড় লিড নিশ্চিত করে পচেত্তিনোর দল। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের যোগ করা সময়ে ব্যবধানটা বাড়িয়ে দেন সের্গেই অরিয়ের।
দল বড় জয়েও পচেত্তিনোর মুখ ছিল বিমর্ষ। সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘হ্যারি গোড়ালির ইনজুরিতে আগেও পড়েছিল। আমরা তার ইনজুরিতে খুব চিন্তিত। কিন্তু আপনি যদি ইতিবাচক হয়ে থাকেন তাহলে আশা রাখতে পারেন হ্যারি খুব দ্রুত সেরে উঠবে।’
ওদিকে ইউরোপা লিগের পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও জয়ে ফিরেছে আর্সেনাল। পরশু ঘরের মাঠে ওয়াটফোর্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল।
ঘরের মাঠে খেলা শুরুর প্রথম থেকে ওয়াটফোর্ডের রক্ষণভাগে আক্রমণ চালাতে মেসুত ওজিল, অবমেয়াং, মিখতারিয়ানরা। ওয়াটফোর্ডও তাদের নিরাশ করেনি। গোলের জন্য গানারদের অপেক্ষা করতে হয়েছে মাত্র ৮ মিনিট। ডিফেন্ডার স্কোদ্রান মুস্তাফির গোলে উচ্ছ্বাসে ভাসে স্টেডিয়াম। তবে ওজিলের রেকর্ড পঞ্চাশতম অ্যাসিস্ট থেকে মুস্তাফির গোলটা হয় তো দুই দিন পর ভুলে যাবেন সমর্থকরা। কিন্তু গোলের পর ডে ডিগবাজিটা তিনি খেয়েছেন সেটা ফুটবলপ্রেমীদের চোখে এনে দিয়েছে প্রশান্তি।
ম্যাচের দুই দলই সমানভাবে আক্রমণ চালাতে থাকে। দুই দলই প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে শট নিয়েছে ১১টি করে। তবে ওয়াটফোর্ডের দুর্ভাগ্য। কোনো শটকেই তারা লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারেনি। প্রথমার্ধের ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্সেনাল। ফিরে এসে তারা আরো জোরে চেপে ধরে ওয়াটফোর্ডকে। ৫৯ মিনিটে আর্সেনাল ফরোয়ার্ড পিয়েরে এমেরিক আউবামেয়াং দ্বিগুণ করেন। এরপর ৭৭ মিনিটে আর্মেনিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মিখতারিয়ানে গোলে সহজ জয় পায় ওয়েঙ্গারের দল। এই জয়ে লিগে ৩০ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে পুনর্র্বহাল থাকল গানাররা।
"