ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৪ মার্চ, ২০১৮

উইলিয়ামসনের নিষ্ফলা শতক

১১২ রানে ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকলেন কেন উইলিয়ামসন। তবু রাজ্যের অন্ধকার ভর করেছিল তার চোখে-মুখে। সেঞ্চুরি করার পরও দল যখন হেরে যায় তখন কোনো ক্রিকেটারের মুখে হাসি থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।

কাল ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ২৩৪ রানের জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ২৩০ রান তুলতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। ৪ রানের নাটকীয় জয়ে প্রথমবারের মতো ওয়েলিংটন থেকে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে ইংলিশরা। অথচ এই মাঠেই তিন বছর আগে সবশেষ ম্যাচে ৩০৯ রান করেও হেরেছিল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের সেদিনের ম্যাচে তাদের ৯ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

কাল সাদামাটা এই পুঁজিটা ইংল্যান্ড আগলে রাখতে পেরেছে মূলত দুই স্পিনার আদিল রশিদ ও মঈন আলির ঘূর্ণি জাদুতে। মৃতব্যয়ী বোলিংয়ের পাশাপাশি ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন মঈন। যা তাকে দিয়েছে ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি। দুটি শিকার রশিদের। নিউজিল্যান্ডকে আস্কিং রেটের চাপে ফেলতে তারও ভূমিকা ছিল।

ওয়েলিংটনের মন্থর উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিক দল। এখান থেকে ৮ বলের ব্যবধানে পড়েছে আরো ৩ উইকেট! কিন্তু কেন উইলিয়ামসন অন্য কিছু ভেবে রেখেছিলেন। ২২ ওভারের মধ্যে ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হার দেখছিল কিউইরা। উইলিয়ামসনের ‘ক্যাপ্টেন্স নক’ এই হারের শঙ্কাকে একপর্যায়ে জয়ে সম্ভাবনায় পরিণত করেও শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারেনি!

অসমান বাউন্সের উইকেট। একটা ডেলিভারি বুক সমান উচ্চতায় তো পরেরটি হাঁটুর নিচে। উইলিয়ামসন এমন উইকেটেই দেখিয়েছেন তার ব্যাটিং দক্ষতার চূড়ান্ত নিদর্শন। তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে কলিন মুনরোর সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়ার পথে ওয়ানডেতে পঞ্চম দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁঁয়েছেন দ্রুততম ৫ হাজার রানের মাইলফলক। কিন্তু এরপর এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেছেন মানরো, চাপম্যান, নিকোলাস, ল্যাথাম ও গ্র্যান্ডহোমদের ফেরার মিছিল!

২৪.২ ওভারে ১০৩ রানের মধ্যে ৬ উইকেট জারিয়ে জয়ের রাস্তা থেকে ছিটকে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। ঠিক এখান থেকেই উইলিয়ামসনের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের শুরু। স্পিনার স্যান্টনারকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েছেন ৯৬ রানের জুটি। এতেই পাশার দান উল্টে যায়। কিন্তু নাটকের শেষ অঙ্ক তখনো বাকি ছিল।

৪৬তম ওভারের দ্বিতীয় উইলিয়ামসনের ক্যাচ ধরতে না পারলেও অপর প্রান্তে স্যান্টনারকে (৪১) রানআউট করেন ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ড তখন জয় থেকে ২৮ বলে ৩৬ রানের দূরত্বে পিছিয়ে। ঠিক তার ১২ বল পর টিম সাউদিকেও ফিরিয়ে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ইংল্যান্ডকেও ফিরিয়ে আনেন ওকস।

শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ২২ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। ৪৯তম ওভারে টম কুরানের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন উইলিয়ামসন। কিন্তু পরের ৫ বল থেকে মাত্র ৩ রান তুলে নিতে পেরেছেন উইলিয়ামসন-সোধি জুটি। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। কঠিন সমীকরণটা মেলাতে পারেনি কিউইরা। ৪ রানের নাটকীয় জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইয়ন মরগানের দল। বুধবার ডানেডিনে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist