ক্রীড়া প্রতিবেদক
আবাহনীতে চূর্ণ মোহামেডান
আগে ব্যাট করে ২৫৯ রান সংগ্রহে আবাহনী যে খুব সন্তুষ্ট ছিল সেটা বলা যাবে না। কিন্তু ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’ মোহামেডানকে তারা শেষ পর্যন্ত উড়িয়ে দিয়েছে ১১২ রানের বিশাল ব্যবধানে। এই জয়ে লিগে শতভাগ রেকর্ড ধরে রাখল আবাহনী। ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। সমান সংখ্যক ম্যাচে মোহামেডানের সংগ্রহ। তারা আছে পঞ্চম স্থানে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সোমবারের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ২৬ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় মোহামেডান। এদিন তাদের ব্যাটিংয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দু’জনেই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। এ ছাড়া মনপ্রিত সিং গনি ২টি আর জাতীয় দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ ও সানজামুল ইসলাম নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় মোহামেডান। দলীয় ৩ রানেই মাশরাফির বলে মিঠুনের হাতে ধরা পড়েন জনি তালুকদার। মাশরাফিই পরপর ফেরান অধিনায়ক শামসুর রহমান ও রনি তালুকদারকে। রনি ৩৮ বলে ৩৫ করে আউট হন। ৬২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ে মোহামেডান।
এ অবস্থায় ৩৮ রানের একটা জুটি গড়েছিলেন রকিবুল হাসান ও ইরফান শুক্কুর। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ ১০০ হতেই সানজামুল ইসলামের বলে অতিরিক্ত ফিল্ডার আরিফুল হাসান সবুজকে ক্যাচ দেন ইরফান। আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৪০। এরপর ২৮ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হন রকিবুল। এর পরপরই ধস নামে মোহামেডানের ব্যাটিংয়ে। হঠাৎই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে মতিঝিলের ক্লাবটি। রহস্যময় ঘূর্ণিতে একে একে বিপুল শর্মা, তাইজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আজিমকে ফেরান মিরাজ। কাজী অনিক ও এনামুল হক আউট হন গণির বলে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও অধিনায়ক নাসির হোসেনের অর্ধশতকের ওপর ভর করে আড়াইশ পেরোয় আবাহনী।
"