ক্রীড়া প্রতিবেদক
অসম লড়াইয়ের এক দিন
প্রিমিয়ার ডিভিশন ঢাকা ক্রিকেট লিগে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কাল সাবেক চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে গুঁড়িয়ে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে শেখ জামাল। তাদের জয়ের দিনে সঙ্গী হয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে বড় জয় নিয়েই মাঠে ছেড়েছে তারা। সবমিলিয়ে অসম লড়াইয়ের একটা দিনই পার হলো ঢাকা লিগে।
ফতুল্লায় প্রাইম ব্যাংককে শেখ জামাল হারিয়েছে ৩২ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। তাদের ইনিংসের প্রথম ৯ জন দুই অঙ্ক ছুঁলেও কেউ ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন ওপেনার মেহেদী মারুফ। সাজ্জাদুল হকের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ রান।
২২৮ রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী ৭০ রানের জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় শেখ জামাল। সৈকত ৩৯ করে ফিরলেও জিয়াউর তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি। ৭৬ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৬৭ রান করে আউট হন জিয়াউর। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দিগি¦জয় রাঙ্গির ৩৯ এবং নুরুল হাসান সোহানের ২৮ লানে অজেয় থাকেন।
সাভারে খেলাঘরের বিপক্ষে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে শাইনপুকুর। শুভাগত হোম চৌধুরীর দল ম্যাচটা জিতেছে ৮৮ রানে। টস হেরে ৭ উইকেটে ২৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ করে শাইনপুকুর। উদয় কাউলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সুবাদে দলীয় সংগ্রহটা তিনশ’র কাছাকাছি নিয়ে যায় শাইনপুকুর। ১৩৬ বলে ১২ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১৩৭ রান করেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
২৯৪ রানের জবাব দিতে নেমে প্রথম বলে উইকেট হারানোর পরও ২ উইকেটে ১১১ রান তুলে ফেলেছিল খেলাঘর। কিন্তু এরপর থেকেই ধুঁকতে থাকে তারা। অমিত মজুমদার ৪৩ ও নাজিমউদ্দিন ২৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ২০৬ রানে গুটিয়ে যায় খেলাঘর।
মিরপুর অগ্রণী ব্যাংককে ১৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান। আগে ব্যাট করে অগ্রণী ব্যাংকের কাঁধে ৭ উইকেটে ৩৩৫ রানের বোঝা চাপিয়ে দেয় মতিঝিলের ক্লাবটি। তাতেই পিষ্ট হয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংক। ৩৭.৪ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৭৬ রানে। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ধীমান ঘোষ।
এর আগে মোহামেডানের ইনিংসে ৮৩ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৯২ রান করেন ইরফান শুক্কুর। রকিবুল হাসান খেলেছেন ৭৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। এছাড়া জনি তালুকদার ৪৩ এবং বিপুল শর্মা ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।
"