ক্রীড়া ডেস্ক
পাগলাটে ম্যাচেও এসেনসিও
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আগুন লড়াইটা ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছিল। মার্কো এসেনসিও পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নামতেই পাল্টে যায় ম্যাচের চেহারা। শেষ দিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও মার্সেলোর দুই গোলে ৩-১ ব্যবধানে জিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। দলের দুটোর গোলেরই জোগানদাতা ছিলেন এসেনসিও। চ্যাম্পিয়নস লিগের পর স্প্যানিশ তরুণ তুর্কি ছন্দটা বয়ে এনেছেন লা লিগাতেও। এবার তিনি নিজেই গোলদাতা। পরশু রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে ৮ গোলের পাগলাটে ম্যাচে দুটো গোল করেছেন তিনি। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত রিয়াল জিতেছে ৫-৩ গোলে।
পরশু এসেনিওর গোলেই ম্যাচের ১১ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। এক গোলের জবাবে দুই গোল দিয়েছে রিয়াল বেটিস, ৩৩ ও ৩৭ মিনিটে। সার্জিও রামোসের গোলে ম্যাচে ফেরে জিনেজিন জিদানের দল। এরপর আর জয়ের জন্য ভাবতে হয়নি ইউরোপ সেরা দলটিকে। ৫৯ মিনিটে এসেনসিওর গোলে স্কোরলাইন ৩-২ করার পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোল জয়টাকে যখন প্রায় হাত ছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে এসেছে, তখনই বেটিসের সার্জিও লিওনের গোল চিন্তার কারণ হয়েছিল। ৮৫ মিনিটে স্কোরলাইন ৪-৩ হয়ে গেলে ম্যাচটায় যে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা তৈরি হয়েছিল, সেটা থেকে রিয়ালকে রক্ষা করেন ফর্মহীনতায় ধুঁকতে থাকা করিম বেনজেমা। ইনজুরি টাইমে তার গোলেই রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে ঘরে ফেরে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
জিদান তো রীতিমতো আবেগপ্রবণই হয়ে উঠলেন ম্যাচ শেষে। বললেন এসেনসিও যখন প্রয়োজন দলের জন্য সব ‘নোংরা’ কাজই করে। এই ‘নোংরা’কে তিনি প্রচন্ড পরিশ্রমের ‘রূপক’ হিসেবে ব্যবহার করলেও এসেনসিওর ক্ষেত্রে তা কিন্তু সত্যিই। বেটিসের বিপক্ষে গোটা ম্যাচেই দৌড়ে গেছেন এই তরুণ। ওপর থেকে নিচে, আবারও ওপরে। ওপরে উঠে দলের আক্রমণে সহায়তা করেছেন, দুটি গোল তো করেছেনই। রক্ষণেও ভূমিকা রেখেছেন। জিদানের মুখে তাই এসেনসিওর স্তুতি, ‘সে হয়তো সব সময় দলের প্রথম একাদশে সুযোগ পায় না। কিন্তু যখন একটু সুযোগও পায় নিজেকে উজাড় করে দেয়।’ এসেনসিওর কথা বলতে গিয়ে লুকাস ভাসকেজের কথাও বললেন রিয়ালের ফরাসি কোচ। কাল বেটিসের বিপক্ষে ভাসকেজের নাম না নিলেই যে নয়।
এসেনসিওর নিজের কণ্ঠেও নিয়মিত না খেলতে পারার হতাশা, ‘আমার মনে হয় এই মৌসুমটা আমার ভালোই কাটছে। কিন্তু খুব বেশি খেলার সুযোগ না পেলে আপনি কীভাবে নিজেকে প্রমাণ করবেন। সে কারণেই সুযোগ যেটিই আসুক, সেটির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে। আমার মনে হয় সেটা আমি পেরেছি। আমি এভাবেই খেলে যেতে চাই।’ জিদানের ওপর তার কোনো অভিমান নেই বলেই জানিয়েছেন এসেনসিও, ‘আমি মনে করি আমাকে নিয়মিত না খেলানোর পেছনে নিশ্চয়ই কোচের কোনো যুক্তি আছে। আমার কাজটা হচ্ছে পরিশ্রম করে যাওয়া আর ধারাবাহিক থাকা।’
যেভাবে এসেনসিও পারফর্ম করছেন তাতে একাদশে তাকে নিয়মিত সুযোগ না দেওয়াটা হবে অন্যায়।
রিয়াল বেটিস ৩
রিয়াল মাদ্রিদ ৫
"