ক্রীড়া ডেস্ক
বাসেলের মাঠে সিটির গোল উৎসব
টটেনহামকে চিনল জুভেন্টাস
৪১ হাজার দর্শক আসন গেড়ে বসতে না বসতেই উঠে দাঁড়ালেন। না, কোনো অস্বস্তিকর বিষয় নিয়ে নয়; এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই জুভেন্টাসকে লিড এনে দিলেন গঞ্জালো হিগুয়াইন। সাত মিনিট বাদে পেনাল্টি থেকে আরেক গোল আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। ম্যাচের স্কোরলাইনটা ৪-০ হবে নাকি ৫-০, হিগুয়াইন কি আজও (পরশুও) হ্যাটট্রিক করবে নাকি এখানেই থামবে- অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়াম জুড়ে জুভ ভক্তদের তখন কৌতুহল ঘেরা আনন্দ। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই লন্ডন থেকে উঠে আসা গুটি কয়েক টটেনহাম ভক্তদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। হয়তো নিজেদের দলের ওপর আস্থাই হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু এই স্পার্স বদলে যাওয়া এক দল। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও হ্যারি কেন আর ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের বীরত্বে তুরিন থেকে মহামূল্যবান দুটি অ্যাওয়ে গোল নিয়ে ফিরেছে টটেনহাম। জুভেন্টাসের কাছে এই হার পরাজয়তুল্যই। তুরিনে দুর্দান্ত অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচে ফেরা টটেনহাম আগামী ৭ মার্চ ঘরের মাঠে নিঃসন্দেহে ফেভারিট হয়েই খেলতে নামবে।
হিগুয়াইনের প্রথম গোলটি ১৯৯৭ সালের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে জুভেন্টাসের দ্রুততম গোল। ২১ বছর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩০ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেছিলেন আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো। নবম মিনিটে সফল স্পট কিক থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এই তারকা। এরপরেও কিন্তু আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের দিকে জুভ সমর্থকদের আঙুল উঠছেই। প্রথমার্ধেই যে হ্যাটট্রিক করে ম্যাচটি পুরোপুরি নিজেদের দিকে টেনে নেওয়ার সুযোগ তিনি হারিয়েছেন আরও একটি পেনাল্টি মিস করে। এর আগে ৩৫ মিনিটেই ব্যবধান কমিয়েছিল টটেনহাম। লাইফলাইন পেয়ে স্বাগতিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পচেত্তিনোর শিষ্যরা। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৭১ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে অতিথিদের সমতায় ফেরান ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন।
এদিকে, প্রিমিয়ার লিগের শিরোপায় একহাত দিয়ে রাখা ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন লিগেও নক আউট পর্বেও উড়ন্ত সূচনা করেছে। সুইস ক্লাব বাসেলকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে স্কাইব্লুজরা। বাসেলের মাঠ সেন্ট ইয়াকোব পার্কে ম্যানসিটির জয়ে জোড়া গোল করেছেন জার্মান মিডফিল্ডার ইকলাই গান্ডোগান।
জুভেন্টাস ২-২ টটেনহাম
বাসেল ০-৪ ম্যানসিটি
"