ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮

‘নিজের কাছেও খারাপ লাগে’

দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছেই না তামিম ইকবালের। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির আভাস দিয়েও বঞ্চিত হয়েছেন। দুটো ম্যাচেই শতক থেকে ১৬ রান দূরত্বে ছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লক্ষ্যটা ছোট হওয়ায় অজেয় থাকতে হয়েছিল দেশ সেরা ওপেনারকে। পরের ম্যাচে অবশ্য তামিম নিজেই আউট হয়েছেন। চলমান সিরিজের একটিতে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারলে হয়তো কাল সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপ করতেন না বাঁ-হাতি ওপেনার।

একদিনের ক্রিকেটে ৪০টি হাফসেঞ্চুরি থাকা ব্যাটসম্যানরা অন্তত ১০টি সেঞ্চুরির মালিক। ব্যতিক্রম শুধু তামিম। তার শতক ৯টি। স্বাভাবিকভাবেই এটা হতাশার সংবাদ তামিমের জন্য। নিজের ব্যাটিংয়ে খুশি থাকলেও এই তথ্যটা তাড়িয়ে বেড়ায় তামিমকে, ‘সত্যি আমার নিজের কাছে খারাপও লাগে। আমার আরো অনেক সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল। শতকের সংখ্যা দুই অঙ্কে যত দ্রুত নেওয়া যায়, সেটা আমার লক্ষ্য থাকবে। ডাবল ফিগার দেখতেও ভাল লাগে, শুনতেও ভাল লাগে। কিন্তু দিন শেষে বলতে গেলে ১৭০টার বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছি। ৪০টির মতো ফিফটি করেছি। সেদিকে থেকে চিন্তা করলে এটা হতাশাজনক যে ৯টি মাত্র সেঞ্চুরি।’

ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় ব্যাটিংয়ে অস্থির ছিলেন তামিম। ব্যাট করতেন আগ্রাসী মেজাজে। সেই তামিমই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বদলে ফেলেছেন ব্যাটিং ধরণ। সামনের দিনগুলোতে এভাবেই খেলে যেতে চান তিনি, ‘চেষ্টা করব যতটা ম্যাচ খেলব, প্রতিটা ম্যাচেই এরকম করে খেলার। অনেকসময় সম্ভব হয় না। কখনো হবে না। আমি যেটা সবসময় টার্গেট করি, ৩০-৪০ বল খেলে সেট হওয়ার পর যতটা বড় করা যায়। যে কোনো পজিশনেই প্রথম ২০ বল সবসময়ই কঠিন। তাই আমি সবমময় চেষ্টা করি ২০-৩০ বল ভালোভাবে সামলে, যখন থিতু হয়ে যাই চেষ্টা করি ইনিংস যতটা বড় করা যায়।’

প্রায় তিন বছর ধরে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফর্ম করে আসছেন সাকিব। গত বছরও ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছড়িয়েছেন তিনি। তবু আইসিসির বর্ষসেরা ব্যাটসম্যান হতে পারেননি তিনি। শুধু তাই নয় আইসিসির একাদশে ঠাঁই হয়নি কোনো বাংলাদেশির। তাতে অবশ্য মন খারাপ হয়নি তামিমের। তবে ফর্মটা ধরে রাখতে পারলে আইসিসির বর্ষসেরা হবেন বলে বিশ্বাস করেন তামিম। বলেছেন, ‘যেভাবে শেষ বছরটা গেল, এভাবে গেলে এক সময় না এক সময়ে আমরা অ্যাওয়ার্ড পাব। আইসিসি অ্যাওয়ার্ড পেতে হলে খুব, খুব ভালো কিছু করতে হবে। আগামী বছরগুলো ভালো গেলে স্বীকৃতি চলে আসবে। যারা ব্যক্তিগত পুরস্কার পেয়েছে তারা অনেক রান করেছে। যারা বর্ষসেরা টেস্ট আর ওয়ানডে দলে ছিল তাদের সবারই তা প্রাপ্য। আমি বলছি না, সাকিব-মুশফিকের প্রাপ্য না, এটা ওদেরও প্রাপ্য। বেশি দিন নেই, বর্ষসেরা টেস্ট দলে বাংলাদেশের দুই বা তিনজন থাকবে।’

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ শুধুই হতাশা উপহার দিয়েছে। চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে খোলস ছেড়ে বেড়িয়েছেন বোলাররা। তামিম মনে করেছেন, গত দেড় মাসের কঠোর পরিশ্রমের ফল পাচ্ছে পেস বোলিং ইউনিট। বিশেষ করে পেসারদের পারফরম্যান্সের সম্ভাব্য সেরা প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন টাইগার ওপেনার। বলেছেন, ‘গত তিন-চার বছরে পেস বোলারদের এতো বোলিং করতে দেখিনি, শেষ এক-দেড় মাসে তাদের যতো বোলিং করতে দেখেছি। তারা কঠোর পরিশ্রম করছে। কোচরা তাদের যে পরিকল্পনা দিয়েছিল, তা পুরো কাজে লাগিয়েছে। প্রচ- পরিশ্রম করেছে, অনেক কষ্ট করেছে।’

বোলাররা বল হাতে, ব্যাটসম্যানরা ব্যাট হাতে পারফর্ম করছেন এই সিরিজে। কিন্তু একজন আছেন যিনি দুই বিভাগেই ছড়িয়েছেন আলো। তিনি সাকিব আল হাসান। দুটো ম্যাচেই পেয়েছেন সেরার স্বীকৃতি। সতীর্থের এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি তামিম। কাল সংবাদ সম্মেলনে মেতে উঠেছেন সাকিব-বন্দনায়, ‘আমার কাছে মনে হয় সে খুব স্মার্ট ক্রিকেটার। সে এই পজিশনে এখনি পারফেক্ট কি না, এটা এখনই বলা তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। আমি যেটা বলতে পারি, সে সামর্থ্য রাখে। সে জানে কী করতে হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist