ক্রীড়া ডেস্ক
পাকিস্তানের ধবলধোলাই লজ্জা
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রূপকথার জন্ম দিয়ে একের পর এক ওয়ানডে জিততে থাকা পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডে কী নাকালটাই না হলো! কাল শেষ ম্যাচে ধবলধোলাই লজ্জা এড়ানোর মরণপণ চেষ্টা করেছিল তারা। ওয়েলিংটনে শেষ পর্যন্ত হেরেছে ১৫ রানে। তাতেই ৫ ম্যাচ সিরিজের সবকটিতে কলঙ্ক গায়ে মাখল পাকিস্তান। ৫-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই খুব বেশিবার তারা হয়নি। এর আগে মাত্র দুবার এমন লজ্জায় পড়েছিল ১৯৯২ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সর্বশেষ ৮ বছর আগে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
শুক্রবার বেসিন রিজার্ভে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো। মাত্র ৫ ওভারে তোলেন ৫০ রান। তবে এরপরই সাজঘরে ফেরেন ২৪ বলে ৩৪ রান করা মুনরো। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের আরেকটি জুটি গড়েন গাপটিল। তবে ২২ করে সাজঘরে ফিরে যান উইলিয়ামসন।
তৃতীয় উইকেটে অভিজ্ঞ টেলরকে সঙ্গে নিয়ে ১১২ রানের জুটি গড়েন গাপটিল। দেখা পান ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরির। তবে ব্যাট উঁচিয়ে ধরার পরই রুম্মান রইসের বলে সাজঘরে ফেরেন। গাপটিলের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি টেলর। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান। শেষ দিকে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ২৯ ও টিম সাউদি ১৪ রান করলে ২৭১ রানের সংগ্রহ পায় কিউইরা।
জবাব দিতে নেমে এই ম্যাচেও ‘সুপার ফ্লপ’ পাকিস্তানের টপ অর্ডার। মাত্র ৩১ রানেই ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। তিন ব্যাটসম্যান ফখর জামান (১২), উমর আমিন (২) ও বাবর আজম (১০) ফেরেন ম্যাট হেনরির বলে। দ্রুত বিদায় নেন মোহাম্মদ হাফিজ (৬) এবং অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদও (৩)। ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খান ও হারিস সোহেল ১০৫ রান যোগ করে বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে ৬৩ রান করে হারিস ও ৫২ করে শাদাব সাজঘরে ফিরলে বড় হারের শঙ্কায় পড়ে দলটি। শেষ দিকে ফাহিম আশরাফ (২৩), আমির ইয়ামিন (৩২) ও মোহাম্মদ নেওয়াজের (২৩) ঝড়ো ব্যাটিং পরাজয়ের ব্যবধানটাই শুধু কমিয়েছে। ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ব্ল্যাকক্যাপস ওপেনার মার্টিন গাপটিল। সোমবার থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
"