ক্রীড়া ডেস্ক
পিএসজির আটে নেইমারের চার
পাঁজরের চোটে আগের ম্যাচে নঁতের বিপক্ষে মাঠে নামা হয়নি প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) সেরা তারকা নেইমার জুনিয়রের। দিঁজো এফসিওর বিপক্ষে তিনি খেলতে পারবেন কি না, সেটা নিয়েও সংশয় ছিল। কিন্তু শঙ্কা কাটিয়ে মাঠে নামলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পোস্টারবয়। একাই করলেন চার গোল। দুধর্ষ-দুর্দমনীয় পারফরমেন্সে দিঁজোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) উপহার দিলেন ৮-০ গোলের দাপুটে এক জয়।
চেনা মঞ্চ পার্ক ডু প্রিন্সেসে দিঁজোকে নিয়ে ছেলেখেলায় মেতেছিল উনাই এমেরির দল। নেইমারের সঙ্গে আক্রমণভাগের বাকি তারকারও গোলের দেখা পেয়েছেন বুধবার। আনহেল ডি মারিয়া দুটি, এডিনসন কাভানি আর কিলিয়ান এমবাপ্পে একটি করে গোল করেছেন। পরশু রাতে ম্যাচের শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। গোল পেয়ে যায় চতুর্থ মিনিটেই। বাঁ দিক থেকে ডি মারিয়ার বাঁকানো শট জালে জড়িয়ে যায়। ১১ মিনিট বাদে আরেকবার লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। প্রথমে নেইমারকে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কাভানি। নেইমার শটও নিয়েছিলেন, সেটি পোস্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগ মুহুর্তে পা ছুঁইয়ে দেন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার। জোড়া গোলের পর বলের জোগান দিয়ে তৃতীয় গোলেও অবদান রাখেন ডি মারিয়া। ২১ মিনিটে তার মারিয়ার ক্রস থেকে হেডে গোল করেন কাভানি। এ গোল দিয়েই জøাতান ইব্রাহিমোভিচের পিএসজির হয়ে গড়া সর্বোচ্চ ১৫৬ গোলের রেকর্ডে ভাগ বসান এই উরুগুয়েন ফরোয়ার্ড। ৪২ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে নিজের প্রথম গোল করেন নেইমার। ৫৭ মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুলকে কাজে লাগিয়ে আরও এক গোল তার । এরপর ৭৩ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় হ্যাটট্রিক করেন তিনি। চার মিনিট বাদে নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান এমবাপ্পে। ৮৩ মিনিটে স্পট কিক থেকে আরেকবার লক্ষ্যভেদ করে গোল উৎসবের রাতটা নিজের করে নেন নেইমার। শেষ পর্যন্ত ৮-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে উনাই এমেরির দল। এই জয়ে ২১ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ ওয়ানে সবার উপরেই আছে পিএসজি।
"