অমর্ত্য আরিয়ান রুপাই
খালার বাসা
আজ শুক্রবার ছুটির দিন। আমরা বেড়াতে যাব খালাবাড়ি। আমার বোন নেহা ও চন্দ্রিকা যাবে। আমার বড় ভাই সঙ্গে যাবে। আমরা রওনা দিলাম। বড় ভাই অন্য বাসায় থাকেন। এজন্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হলো। বড় ভাই এলো। একটি এসি বাসে উঠলাম। আমার মা বলল, ওইখানে গিয়ে সবাইকে সালাম জানাবে। আমরা খালার বাসায় আসলাম। খালাকে আজ আমি প্রথম দেখব। আমার খালাতো ভাই রফিক ও শফিক, খালাতো বোন রোজি ও রিতা। খালাকে সালাম জানালাম। খালুর জন্য উপহার এনেছিলাম। দিলাম। খালু খুব খুশি হলো। খালার বাসার ছাদে একটি বাগান আছে। খুব সুন্দর। অনেক ফুলের গাছ। গোলাপ, সূর্যমুখী, হাসনাহেনা। অন্যগুলো চিনি না। লেবুগাছে লেবু ধরেছে। একটা পাতাবাহার
গাছ। আমাদের বাসার বাগানেও আছে। আমাদের সঙ্গে মামনি ছাদে উঠেছে। বলল, দ্যাখ, একটা প্রজাপতি। আমি দেখলাম। খুব সুন্দর। রঙিন পাখা। আমি বললাম, মামনি, ওরা এত রং কোথায় পেল? মামনি বলল, তোর
রঙের বাক্স থেকে নিয়েছে। আমার প্রজাপতি ভালো লাগে। খালার বাসায় দুই দিন থাকলাম। রোববার স্কুল খোলা। শনিবার চলে এলাম। এসে দেখি, আমাদের বারান্দার বাগানেও একটা প্রজাপতি। আপুকে বললাম, আপু দ্যাখ, ওই প্রজাপতিটা আমাদের সঙ্গে এসেছে। আপু হাসল।
লেখক : দ্বিতীয় শ্রেণি, সানি হিলস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মগবাজার, ঢাকা।
"